নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপি-র আরও কয়েকজন বিধায়ক

গুয়াহাটিঃ রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ হিতেন্দ্ৰনাথ গোস্বামীর পর বিবেকের দংশনে এবার নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল ২০১৬-র বিরোধিতায় নাম লেখালেন বিজেপি-র আরও কয়েকজন বিধায়ক। এই সব বিজেপি বিধায়করা বিলের বিরুদ্ধে প্ৰত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। অসমের সার্বিক স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ওই বিল মেনে নেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেছেন এই সব বিজেপি বিধায়করা।
বিতর্কিত বিল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বিহপুরিয়ার বিজেপি বিধায়ক দেবানন্দ হাজরিকা বলেন,‘অসমের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনও কাজ আমরা করবো না। এই বিল অসমিয়া বিরোধী। তাই এজাতীয় বিলকে আমরা কোনওভাবেই সমর্থন করতে পারি না। আমরা ধর্মের ভিত্তিতে বাংলাদেশিদের বিভাজন করতে পারবো না। তাঁর মতে বিদেশি বিদেশিই। রাজ্যসভায় বিলটি যাতে পাস না হয় তার জন্য মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে ব্যবস্থা গ্ৰহণের জন্য আমি অনুরোধ করছি’।
একই পথ অনুসরণ করে লাহোয়াল .কেন্দ্ৰের বিজেপি বিধায়ক ঋতুপর্ণ বরুয়া বলেন,‘গণতন্ত্ৰে জনগণের রায়কেই সম্মান দেওয়া হয়ে থাকে। তাই অসমের আপামর মানুষ যেখানে বিলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন সেখানে আমাদেরও এই সময়ে মানুষের পাশে থাকা প্ৰয়োজন। এই বিল যদি পাস হয় তাহলে সেটা অসমকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেবে। সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা(আসু)হচ্ছে সেই মঞ্চ যেখান থেকে আমরা রাজনীতির অঙ্গনে এসেছি। নির্বাচনের আগে বিজেপি আমাদের অসম চুক্তি দ্ৰুত রূপায়ণের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু এখন এধরনের একটা বিতর্কিত বিল এনে দল ওই প্ৰ্তিশ্ৰুতি ভঙ্গ করেছে’।
বিজেপি-র দিশপুর কেন্দ্ৰের বিধায়ক অতুল বরা বলেন,‘আমি বার বারই বলে এসেছি এই বিল অসমকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে। তাই এমন বিলকে সমর্থন করার কোনও কারণই আমরা দেখতে পাচ্ছি না। যদিও কেউ কেউ বলছেন এই বিল পাস হলে অসম উপকৃত হবে,এটা নিতান্তই তাদের ব্যক্তিগত মতামত। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে এই বিলের বিরোধিতা করে যাবো’-বলেন বরা।
ওদিকে বিতর্কিত বিলটির সরাসরি বিরোধিতা করা থেকে বিরত থাকলেও চতিয়ার বিজেপি বিধায়ক পদ্ম হাজরিকা বলেন,‘অসমের বিদেশি নাগরিক সমস্যার সমাধান অসম চুক্তির ভিত্তিতেই করতে হবে। চুক্তি যাতে কোনওভাবেই লঙ্ঘিত না হয় আমাদের অবশ্য সেদিকে নজর রাখতে হবে। এই চিন্তাভাবনা মাথায় রেখেই আমাদের এগোতে হবে’।