Begin typing your search above and press return to search.

নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে দিশপুর কাঁপালো ৭০টি সংগঠন

নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে দিশপুর কাঁপালো ৭০টি সংগঠন

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  17 Nov 2018 8:41 AM GMT

গুয়াহাটিঃ নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী বিল নিয়ে শুক্ৰবার সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দিশপুর কাঁপালো ৭০টি জাতীয় সংগঠনের সদস্যরা। এদিন তাঁরা রীতিমতো দিশপুর ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্ৰদর্শন করে বিতর্কিত ওই বিলের বিরুদ্ধে। প্ৰতিবাদ কর্মসূচির ফলে কার্যত প্ৰায় অচলাবস্থা দেখা দেয় দিশপুর এলাকায়। সংগঠনগুলি সরকারের উদ্দেশে সরাসরি প্ৰশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেছে সরকার অসমের আম জনতার পাশে না নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬-এর পক্ষে? সরকার সেই অবস্থান অবিলম্বে স্পষ্ট করুক। বিল নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সংগঠনগুলি রাজ্য সরকারকে সাতদিনের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে।

এদিন ৭০টি সংঠনের সদস্য ও সমর্থকদের শহরে প্ৰবেশে বাধা দিতে মহানগরীর বিভিন্ন প্ৰবেশ পথে ব্যাপক সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়। বিলের বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ জানাতে ডিফু,জোনাই,শদিয়া ও ধুবড়ি ইত্যাদি অঞ্চল থেকে প্ৰতিবাদকারীরা গুয়াহাটিতে এসে সমবেত হন। ৭০টি সংগঠনের নেতা ও হাজার হাজার সমর্থক শহরে প্ৰবেশ করে তাদের ‘দিশপুর চলো’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণেশ উদ্যানে মিলিত হয়ে এক সভার আয়োজন করে শহর কাঁপিয়ে তোলেন। নাগরিক বিলের বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ জানাতে চারটি বিভিন্ন স্থান থেকে গত ১১ নভেম্বর সংকল্পযাত্ৰা অভিযানের সূচনা করা হয়েছিল। প্ৰতিবাদকারীদের আটকাতে পুলিশ আগে থেকেই সতর্ক ছিল। বিভিন্ন স্থানে বাস ও ট্ৰেনে প্ৰতিবাদকারীদের আটকে দেয় পুলিশ।

এদিন গণেশ উদ্যানের ওই সভা শুরু হয় সকাল ১০টায়। সভার তরফে কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে ‘রাজ্য পরিচালনার অধিকার একমাত্ৰ স্থানীয় ভূমিপুত্ৰদেরই রয়েছে। অসম চুক্তিতে বেঁধে দেওয়া কাট অফ ডেটের পরে আসা কোনও বিদেশিকে রাজ্যে থাকতে দেওয়া হবে না,তারা যেকোনও ধর্মেরই হোক না কেন। সভা চলে বেলা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত। প্ৰতিবাদকারীরা দিশপুর লাস্ট গেট অবধি একটি মিছিলও বের করেন। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের আর এগোতে দেয়নি। এরপর প্ৰতিবাদকারীরা মানবেন্দ্ৰ শর্মা কমপ্লেক্সের সামনে সড়কেই অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। অবস্থান ধর্মঘট চলাকালে তাঁরা সরকার ও নাগরিক বিলের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে পরিস্থিতি সরগরম করে তোলেন।

অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্ৰ পরিষদের(অজাযুছাপ)সাধারণ সম্পাদক পলাশ চাংমাই বলেন,কোনও বিদেশিকে অসম শাসনের সু্যোগ দেওয়া হবে না। এই বিল অসমিয়া ভাষা,সংস্কৃতির অস্তিত্ব বিপন্ন করার একটা প্ৰত্যক্ষ হুমকি ছাড়া কিছুই নয়। পুরো গণতান্ত্ৰিক পথেই এদিনের প্ৰতিবাদ কর্মসূচি সমাপ্ত হয়। কোথাও কোনও অপ্ৰীতিকর ঘটনার খবর নেই।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম