নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কেন্দ্ৰ অন্যান্য দলের সঙ্গেও কথা বলবেঃ রাজনাথ

নয়াদিল্লিঃ/গুয়াহাটিঃ নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিলের(সিএবি)খসড়া আইন নিয়ে কেন্দ্ৰীয় সরকার অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও অসামরিক সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করবে। স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী রাজনাথ সিং রবিবার উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজনৈতিক নেতাদের একটি প্ৰতিনিধি দলকে একথা বলেছেন। রবিবারের এই কথা বার্তা বিতর্কিত বিল বিরোধী আন্দোলনকারীদের কিছুটা যে স্বস্তি দেবে সেটা নিশ্চিত।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্ৰী কনরাড কে সাংমা এদিন উত্তর পুবের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে রাজনাথের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। উত্তর পূর্বের নেতারা এদিনও বিলের বিরুদ্ধে তাঁদের আপত্তির কথা ফের উল্লেখ করেন। উত্তর পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলির উচ্চপর্যায়ের প্ৰতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্ৰী কনরাড কে সাংমা। প্ৰতিনিধিদলে শামিল ছিলেন অসম গণ পরিষদ(অগপ)দলের সভাপতি অতুল বরা,রাজ্যের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত,কেশব মহন্ত,ফণীভূষণ চৌধুরী এবং বীরেন্দ্ৰ প্ৰসাদ বৈশ্য।
‘স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী আমাদের বলেছেন খসড়া আইন সম্পর্কে তিনি অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও অসামরিক সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করবেন। আমি মনে করি এটা খুবই ইতিবাচক ইঙ্গিত এবং এখন সবার সঙ্গে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করেই সবকিছু এগোবে’-বলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্ৰী সাংমা।
স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰীর উদ্ধৃতি দিয়ে সাংমা বলেন,সিং উল্লেখ করেছেন উত্তর পূর্বের মানুষের আবেগ অনুভূতির বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন। সাংমার আশা,বিল নিয়ে তাদের এই আলোচনা আখেরে ফলপ্ৰসূই হবে। ‘বিল নিয়ে সরকার আর যাতে এগোতে না পারে তা সুনিশ্চিত করতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। তবে এই ইস্যু নিয়ে আমাদের বিরোধিতা এবং প্ৰয়োজনীয় কাজকর্ম পুরোদস্তর চলবে’-সাংমা উল্লেখ করেন।
বৈঠক শেষে অগপ সভাপতি অতুল বরা দ্য সেন্টিনেলকে বলেন,বিল সম্পর্কে উত্তরপুবের মানুষের আবেগ-অনুভূতির কথা আমরা স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰীকে খুলে বলেছি। বলেছি,‘কেন্দ্ৰকে এই বিল তুলে নিতে হবে,কারণ এটা সংবিধানের মূল গতিকে লঙ্ঘন করছে। ধর্ম নয়,অসম গঠিত হয়েছে ভাষার ভিত্তিতে। এই বিলে ধর্মের ভিত্তিতে বিদেশি প্ৰশ্নে বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিদেশি মানে বিদেশিই। তাই বিলটি আইনে রূপান্তর হলে অসমিয়া ভাষার ওপর হুমকি সৃষ্টি হবে। তাছাড়া ১৯৫১ থেকে ৭১ সাল পর্যন্ত আসা বিদেশির বোঝা অসম ইতিমধ্যেই নিয়েছে,কিন্তু এখন আর অসমকে বিদেশির ডাম্পিং গ্ৰাউন্ড হতে দেওয়া যায় না। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসা বিদেশির বোঝা অসম আর বইতে পারবে না’।
এদিকে কনরাড সাংমা দিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেছেন ‘স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী আমাদের দাবির প্ৰতি ইতিবাচক সাড়াই দিয়েছেন’।