Begin typing your search above and press return to search.

নাগরিকত্ব বিল মামলা নিয়ে কেন্দ্ৰকে অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ সুপ্ৰিমকোর্টের

নাগরিকত্ব বিল মামলা নিয়ে কেন্দ্ৰকে অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ সুপ্ৰিমকোর্টের

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  28 Feb 2019 11:30 AM GMT

নয়াদিল্লিঃ পাসপোর্ট সংশোধনী রোল ২০১৫ এবং বিদেশি সংশোধনী রোল সম্পর্কিত দুটি বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দাখিল করা মামলা সম্পর্কে কেন্দ্ৰের অবস্থান স্পষ্ট করতে বুধবার নোটিশ ইস্যু করলো সুপ্ৰিমকোর্ট। মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ,বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে নিয়ে গঠিত আদালতের একটি বিশেষ বেঞ্চ নাগরিকত্ব আইন সংশোধন বিরোধী মঞ্চের(নাগরিকত্ব আইন সংশোধন বিরোধী ফোরাম)নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে দাখিল করা একটি মামলার প্ৰেক্ষিতেই কেন্দ্ৰকে ওই নোটিশ ইস্যু করে। বুধবারই ছিল ওই মামলার শুনানি। কোর্ট এব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য কেন্দ্ৰকে দুসপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে। বাংলাদেশ,পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে এবং বৈধ নথিপত্ৰ ছাড়া যে সব অমুসলিম ভারতে ভুকছে তাদের নাগরিকত্ব দিতে কেন্দ্ৰ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬ উত্থাপন করেছিল সংসদে। এই বিলের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্ৰিমকোর্টে মামলা ঠুকে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন বিরোধী মঞ্চ নামের ফোরামটি।

ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পাসপোর্ট সংশোধনী রোল ২০১৫ এবং বিদেশি সংশোধনী আইন সম্পূর্ণ অবৈধ,স্বেচ্ছাচারী ও বিদ্বেষমূলক। নাগরিকত্ব আইন সংশোধন বিরোধী মঞ্চ বরাবরই বলে আসছে এই আইন অবিলম্বে বাতিল করার জন্য। মঞ্চ মনে করে এই আইন পাস হলে তা দেশের সংবিধান ও ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর ওপর দারুণ আঘাত হানবে। ফোরাম এই বিলটিকে অমানবিক আখ্যায়িত করে বলেছে এটি পাস হলে পড়শি দেশ পাকিস্তান,বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিমরা সহজেই দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে ২০১৪-সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পড়শি দেশগুলি থেকে আসা অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দিতে চাওয়া হচ্ছে। লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল ২০১৯ পাস হলেও রাজ্যসভায় তা আটকে যায় বিরোধী দলগুলির চাপে। তাছাড়া রাজ্যসভায় শাসক দলে সংখ্যাগরিষ্ঠতায়ও অভাব ছিল। এরই মাঝখানে বিলটি বাতিলের দাবিতে সুপ্ৰিমকোর্টের দ্বারস্থ হয় নাগরিকত্ব সংশোধন বিরোধী মঞ্চ।

রাজ্যের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী হীরেন গোঁহাই,মনজিৎ মহন্ত এবং হরেকৃষ্ণ ডেকা ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর জারি করা বিদেশি সংশোধনী নির্দেশ ২০১৫ কে অবৈধ ঘোষণা করার আর্জি জানিয়েছেন।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম