গুয়াহাটিঃ নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল ২০১৬ নিয়ে দিশপুর ও দিল্লির ভূমিকাকে ‘দায়িত্ব জ্ঞানহীন,আখ্যায়িত করেছে সারা অসম কর্মচারী পরিষদ(এসএকেপি)। পরিষদ বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুংকার দিয়েছে। বিতর্কিত বিলের বিরুদ্ধে অসম আন্দোলনের ধাঁচে মন্ত্ৰ উচ্চারণ করে কর্মচারী পরিষদের তরফে বলা হয়েছে ‘রাজ্যের চেয়ে চাকরি বড় নয়’।
রবিবার তামুলপুরে এসএকেপি-র কেন্দ্ৰীয় কর্মসমিতির বৈঠকে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এই বৈঠকে বিতর্কিত বিলের বিরুদ্ধে আগামি ২৩ জানুয়ারি থেকে এক গুচ্ছ আন্দোলন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্মচারী পরিষদ। ওই দিন পরিষদ বিলের বিষয়ে গোটা রাজ্যে সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থার(আসু)আহূত ‘বজ্ৰনিনাদ কর্মচূচি’র প্ৰতি সমর্থন জানাবে। বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনু্যায়ী ৩০ জানুয়ারি পরিষদ সদস্যরা বিলের বিরুদ্ধে রাজ্যের সব জেলাশাসক ও মহকুমা পরিষদের কার্যালয়ের সামনে বেলা ১১টা থেকে দুটো পর্যন্ত তিন ঘণ্টা অবস্থান ধর্মঘট পালন করবে। এসএকেপি এক বার্তায় জানাচ্ছে যে ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৫ সাল অবধি বিদেশি বিতাড়নে রাজ্যে যে আন্দোলন হয়েছিল পরিষদও তার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল।
অসম আন্দোলনে শহিদ হওয়া ৮৬০ জনের মধ্যে ৬৮ জন ছিলেন রাজ্য সরকারের কর্মচারী।
এসএকেপি-র তরফে বলা হয়েছে যে অসম চুক্তিতে পরিষ্কার উল্লেখ করা আছে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের মাঝরাতের পর রাজ্যে আসা সব বিদেশিদের বহিষ্কার করতে হবে। অসম চুক্তিতে উল্লেখিত ওই কাট অফ ডেট যখন সংশ্লিষ্ট সব দল ও সংগঠন মেনে নিয়েছে সেই হেতু বিদেশি চিহ্নিতকরণ ও বহিষ্কার ওই চুক্তি অনু্যায়ী করতে হবে। ১৯৭১ সালের পর রাজ্যে আসা হিন্দু বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার যে তোড়জোড় কেন্দ্ৰ চালাচ্ছে তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এটা শুধু অসমের স্বার্থেরই পরিপন্থী নয়,ভারতীয় সংবিধানের মূল ধারারও বিরোধী-বলেন এসএকেপি নেতারা। পরিষদ আরও বলেছে রাজ্য ও কেন্দ্ৰীয় সরকার সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন ভূমিকা পালন করছে এবং তারা রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের আন্দোলনের পথে পা বাড়াতে বাধ্য করছে।