নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদঃ ইস্তফা দিলেন তিন মন্ত্রী

বহুচৰ্চিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে আন্দোলন প্ৰতিবাদ ভাঙচুর চলে। প্ৰশাসনের স্নায়ুকেন্দ্ৰ দিসপুর জনতা ভবনের সামনে কেএমএসএস এবং জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্ৰ পরিষদের সদস্যরা বাসের ব্যারিক্যাড টপকে জনতা ভবনে প্ৰবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচাৰ্জ করে ছত্ৰভঙ্গ করে তাদের। ফলে জিএস রোড, গণেশগুড়ি, উলুবাড়ি পৰ্যন্ত ভীষণ যানজটের সৃষ্টি হয়। ও দিকে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিন মন্ত্রী।এদিকে, অগপ-র তিন মন্ত্ৰী ফণিভূষণ চৌধুরী, অতুল বরা এবং কেশব মহন্ত এ দিন বিধানসভা ভবনে জরুরি বৈঠকে বসেন।
তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্ৰী ডিগবয় থেকে ফিরে এলেই পদত্যাগপত্ৰ মুখ্যমন্ত্ৰীর হাতে তুলে দেন। অসম বিধানসভার অধ্যক্ষ হিতেন্দ্ৰনাথ গোস্বামী এ দিন লিখিত ভাবে জানিয়েছেন- “খিলঞ্জিয়া বিরোধী কোনও বিলকে কোনও ভাবেই সমৰ্থন করতে পারি না”। জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্ৰ পরিষদের নেতা পলাশ চাংমা বলেন, বিজেপি সাংসদ রামেশ্বর তেলি, বিজেপি বিধায়ক তেজন গোয়ালাকে বৰ্জন করেছে। মুখ্যমন্ত্ৰী-সহ বিজেপির সব নেতা মন্ত্ৰীকে বৰ্জন করা হবে। এ দিনও জোরহাট মেডিক্যাল কলেজ, কটন বিশ্ববিদ্যায়লের ছাত্ৰ একতা সভা ক্লাস বয়কট অব্যাহত রাখে।
অন্যদিকে আসুর সাধারণ সম্পাদক ল্যুরিন জ্যোতি গগৈ কংগ্ৰেসের সমালোচনা করে বলেন, বিলটি নিয়ে সংসদে কংগ্ৰেস সাংসদরা কোনও ভূমিকা পালন করতে পারেননি। বিলটির জন্য গণতন্ত্ৰ আজ ধৰ্মনিরপেক্ষতার হুমকির মুখে পড়েছে। কারণ ধৰ্মের ভিত্তিতে বিলটি আনা হয়েছে।তবে প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ বলেন, “সৰ্বানন্দকে আর আমরা মুখ্যমন্ত্ৰী হিসেবে গণ্য করব না। বিজেপির অৰ্থ হল বাংলাদেশি জাতীয় পাৰ্টি। আমরা রাজ্যসভায় বিলটির তীব্ৰ বিরোধীতা করেছি এবং করে যাব”।
একইভাবে কংগ্ৰেস পরিষদীয় দলের নেতা দেবব্ৰত শইকিয়া অগপ-কে বিজেপি ছাড়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “অসমের জাতি গোষ্ঠী স্বাভিমান বিরোধী এই বিলকে কোনও পৰ্যায়ে সমৰ্থন করতে পারি না”।অখিল গগৈ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, এই বিল যদি পাস হয়, তা হলে রাজ্যকে অচল করে দেওয়া হবে। রাজ্যের প্ৰত্যেকটি শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠান সব বন্ধ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের আইনজীবীরাও আন্দোলনের পথে নেমেছেন। যদিও রাজ্যব্যাপী বিক্ষোভের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা এ দিন আবারও বলেন, অসমিয়া হিসেবে তিনি গৌরবান্বিত। এমন একটি বিল পাস করতে চলেছে কেন্দ্ৰীয় সরকার যার ফলে ভূমিপুত্ৰ অসমিয়াদের স্বাৰ্থ সুরক্ষিত হবে। তবে এই প্ৰতিবেদন লেখা পৰ্যন্ত রাজ্যসভায় বিল পাস হয়নি।