
এলাহাবাদ হাইকোর্ট নাবলিকা ধর্ষণ ও খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত এক অপরাধীর মৃত্যুদণ্ডের রায় শুক্ৰবার বহাল রাখলো। ২০১৪ সালে দায়রা আদালত এই অপরাধীর বিরুদ্ধে একই শাস্তির রায় দিয়েছিল। একটি নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে পুতাই নামের ৩১ বছর বয়সী লোকটিকে দায়রা আদালত দোষী ঘোষণা করে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল। এরপরই দোষী ব্যক্তিটি হাইকোর্টে আপিল করলে হাইকোর্ট ওই একই রায় বহাল রাখে।
পুতাইর সঙ্গে শামিল ছিল দিলীপ নামের একজন। বেঞ্চ দিলীপকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে। এই দুজন যে অপরাধ করেছে তা অত্যন্ত নৃশংস ও অমানবিক বিবেচনা করে হাইকোর্ট এদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নেয়। বিচারপতি আর আর সাওয়াস্থি এবং বিচারপতি মহেন্দ্ৰ দয়ালকে নিয়ে গঠিত লখনৌ বেঞ্চ বলেছে,যেভাবে এই জঘন্য ঘটনা ঘটানো হয়েছে তাতে অপরাধীদের ক্ৰুর মানসিকতাই প্ৰতিফলিত হয়েছে। ধর্ষণের পর নাবালিকাকে খুন করে প্ৰমাণ লোপাট করতে মৃতদেহ মাঠে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল অপরাধীরা। ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় নাবালিকাটি কী পরিমাণ যন্ত্ৰণা সহ্য করেছে তা সহজেই অনুমেয়। সরকারি আইনজীবী বিমল শ্ৰীবাস্তব বলেছেন,অপরাধীদের বিরুদ্ধে বেঞ্চ যথার্থ রায়ই দিয়েছে।