নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রাজস্থানের রাজ্যপাল কল্যাণ সিঙের বিরুদ্ধে

নয়াদিল্লিঃ রাষ্ট্ৰপতি রামনাথ কোবিন্দ রাজস্থানের রাজ্যপাল কল্যাণ সিঙের নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া একটি চিঠি কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। রাষ্ট্ৰপতি এব্যাপারে ‘প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা’ গ্ৰহণ করতে বলেছেন মন্ত্ৰককে। নির্বাচন কমিশন(ইসি)সোমবার ওই চিঠিটি রাষ্ট্ৰপতিকে দিয়েছিল। ওই চিঠিতে ইসি-র তরফ থেকে বলা হয়েছে যে,প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদির প্ৰশংসা করে কল্যাণ সিং বলেছিলেন মোদি পুনরায় নির্বাচিত হওয়া উচিত। রাজস্থানের রাজ্যপাল এধরনের মন্তব্য করে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন-চিঠিতে উল্লেখ করেছে নির্বাচন কমিশন। চিঠির বয়ান অনু্যায়ী কল্যাণ সিঙের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের এই ঘটনা ‘খুবই গুরুতর এবং একজন সাংবিধানিক কর্তার এমন ভূমিকা খুবই দুর্লভ’।
বিদেশ সফর সেরে দেশে ফেরার পর রাষ্ট্ৰপতির হাতে পড়ে এই চিঠিটি। রাষ্ট্ৰপতি চিঠিটি স্বরাষ্ট্ৰ বিষয়ক মন্ত্ৰকের কাছে পাঠিয়ে দেন। তবে রাষ্ট্ৰপতি এক নোটে উল্লেখ করেছেন একজন রাজ্যপালের সক্ৰিয় রাজনীতি থেকে দূরে থাকা উচিত।
স্বাধীনতার পর এই প্ৰথমবার একজন রাজ্যপাল কোনও প্ৰধানমন্ত্ৰীর পক্ষে প্ৰচার চালিয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলেন।
লোকসভা নির্বাচনের সুখে মোদি বন্দনায় কল্যাণ সিঙের প্ৰচার নিয়ে বিতর্ক দেখা দেওয়ায় কংগ্ৰেস তাঁকে বরখাস্ত করার জন্য রাষ্ট্ৰপতিকে হস্তক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে।
গত মাসে কল্যাণ সিং ক্যামেরার সামনে বলেছিলেন,দেশ ও সমাজের স্বার্থে মোদিকে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি। আলিগড়ে নিজের শহরেই ওই মন্তব্য করেছিলেন কল্যাণ সিং।
সিং একসময়ে উত্তর প্ৰদেশের মুখ্যমন্ত্ৰীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯২ সালে সিং উত্তর প্ৰদেশের মুখ্যমন্ত্ৰী থাকাকালেই ১৬ শো শতাব্দীর বাবরি মসজিদ গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। ১৯৯৯ সালে সিং বিজেপি ছেড়ে দেন এবং ২০০৪-এ ফের দলে ফিরে আসেন। ২০১৪ সালে বিজেপি কেন্দ্ৰে ক্ষমতায় আসার পর কল্যাণ সিংকে রাজস্থানের রাজ্যপাল নিয়োগ করা হয়েছিল।