নির্বাচনের সময় যেকোনও অপ্ৰীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলায় আমরা প্ৰস্তুতঃ ডিজিপি

গুয়াহাটিঃ ‘লোকসভা নির্বাচনের সময় রাজ্যে যেকোনও ধরনের অপ্ৰীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলায় আমরা সম্পূর্ণ প্ৰস্তুত রয়েছি। সাধারণ নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের ডিজিপি কুলধর শইকিয়া সাংবাদিকদের একথা বলেন। সোমবার গুয়াহাটির পুলিশ সদর দপ্তরে শইকিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ওই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার তথা এডিজিপি(আইন এবং শৃঙ্খলা)মুকেশ আগরওয়াল বলেন,‘রাজ্যে লাইসেন্সপ্ৰাপ্ত ২৫ হাজারের বেশি আগ্নেয়াস্ত্ৰ রয়েছে এবং এগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি অস্ত্ৰ পুলিশের কাজে জমা পড়েছে। এই প্ৰক্ৰিয়া এখনও চলছে। ভারতের নির্বাচন কমিশন আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি(এমসিসি)লাগু করার পর থেকে পুলিশ রাজ্যে এপর্যন্ত ৩২টি অবৈধ অস্ত্ৰ বাজেয়াপ্ত করেছে’।
জামিন অযোগ্য গ্ৰেপ্তারি পরোয়ারা(এনবিডব্লিউএস)কার্যকরী করা সম্পর্কে এডিজিপি বলেন,‘এটা একটা লাগাতার প্ৰক্ৰিয়া যেহেতু কোর্ট এধরনের পরোয়ারা ইস্যু করে আসছে। এখন পর্যন্ত ৬,৩০০টি এনবিডব্লিউএস কার্যকরী করা হয়েছে। আরও ১৪০০টি এনবিডব্লিউএস এখনও ঝুলে আছে। তবে এই প্ৰক্ৰিয়াও এগিয়ে চলেছে’।
রাজ্যে সাধারণ নির্বাচনের সময় সুরক্ষা বাহিনীর শক্তি সম্পর্কে ডিজিপি বলেন,কেন্দ্ৰীয় সশস্ত্ৰ পুলিশ বাহিনীর(সিএপিএফ)আরও ৩৩ কোম্পানি এসে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে নির্বাচনী প্ৰক্ৰিয়ার সময় বিভিন্ন স্থানে মোতায়েনের জন্য আমাদের হাতে ৯০ কোম্পনি সিএপিএফ মজুত থাকবে। বর্তমানে এনআরসি-র ডিউটিতে থাকা সুরক্ষা কর্মীদের আমরা লোকসভা নির্বাচনের কাজে মোতায়েন করবো না। তারা বর্তমানে যেখানে আছে সেখানেই থাকবে’।
লোকসভা নির্বাচনকালে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত সম্পর্কে ডিজিপি বলেন,যেকোনও অপ্ৰীতিকর পরিস্থিতির সামনা করতে আমরা তৈরি হয়ে আছি। সব স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলিতে পুলিশি টহল বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অসমে নির্বাচনে কেউ যাতে গোল পাকাতে না পারে তার জন্য পড়শি রাজ্যগুলির ডিজিপিদের সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ রেখে চলেছি-বলেন শইকিয়া। সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ ঠেকাতে সোসিয়েল মিডিয়ার কাজকর্ম তদারক করতে সব পুলিশ সুপারদের বলে পাঠানো হয়েছে-জানান ডিজিপি।