Begin typing your search above and press return to search.

নির্বাচনোত্তর উন্নয়নমূলক কাজে গুরুত্ব মুখ্যমন্ত্ৰী সোনোয়ালের

নির্বাচনোত্তর উন্নয়নমূলক কাজে গুরুত্ব মুখ্যমন্ত্ৰী সোনোয়ালের

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  24 April 2019 11:44 AM GMT

গুয়াহাটিঃ রাজ্যে লোকসভা নির্বাচন ভালয় ভালয় সম্পন্ন হয়েছে। এখন দিশপুরকে নির্বাচনোত্তর উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিয়ে এগোতে হবে। এবছর বাকি থাকা উন্নয়নমূলক কাজ সেরে ফেলাটা অপরিহার্য। মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়ালের মতে,লোকসভা নির্বাচনের সময় দেওয়া সব প্ৰতিশ্ৰুতি ও আশ্বাসকে বাস্তব রূপ দিতে হবে। তাই এসময়টাকে গণ্য করতে হবে ’ইয়ার অব ইমপ্লিমেন্টেশন’ হিসেবে।

মঙ্গলবার দ্য সেন্টিনেলের সঙ্গে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন,‘নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্ৰয়োগ করার জন্য আমি রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। গণতন্ত্ৰের ক্ষেত্ৰে এটা সুস্থ লক্ষণ। এখন আমাদের লক্ষ্য হবে উন্নয়নের গতি ক্ষিপ্ৰতর করে তোলা। সমাজের প্ৰত্যেক শ্ৰেণির মানুষের কল্যাণে আমাদের অনেক কিছু করণীয় রয়েছে। আমরা উন্নয়নমূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে ‘ইয়ার অফ ইমপ্লিমেন্টেশন’ পালন।

লোকসভা নির্বাচন এবং সরকারের পারফরম্যান্স সম্পর্কে সোনোয়াল বলেন,বিজেপি-অগপ-বিপিএফ এবং অন্যান্য শরিক দলগুলি হচ্ছে একটা উইনিং কম্বিনেশন। কেন্দ্ৰে এনডিএ সরকারের গত পাঁচ বছরের এবং রাজ্য সরকারের তিন বছরের কাজকর্মের প্ৰতি লক্ষ্য রেখেই মানুষ ভোট দিয়েছেন। ‘আমি মনে করি,সুশাসন ব্যবস্থা প্ৰবর্তনে আমরা সফল হয়েছি। প্ৰথম দিকে সমাজের একটা শ্ৰেণি আমাদের সরকার নিয়ে কিছুটা নিরাপত্তাহীন বোধ করেছিল। তবে ওই দিন কেটে গেছে। কেন্দ্ৰীয় সরকার বিভিন্ন স্কিম হাতে নিয়েছে,সব শ্ৰেণির মানুষকে ওই সব স্কিমের আওতায় আনা হয়েছে’।

রাজ্যে লোকসভা নির্বাচন ফলাফল সম্পর্কে তিনি বলেন,‘আমরা ১২টি আসন পাবো বলেই আশা করছি। এর মধ্যে বিজেপি ১০ ও শরিক জোট আরও দুটি আসন পাবে।

রাজ্যের কিছু বুদ্ধিজীবী বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার জন্য পরোক্ষে যে আবেদন জানিয়েছিলেন সে সম্পর্কে প্ৰতিক্ৰিয়া ব্যক্ত করে মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন,ন্যস্ত স্বার্থান্বেষীদের কথা না ভেবে বুদ্ধিজীবীদের বৃহত্তর ভূমিকা পালন করা উচিত। পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং তার আগেও এধরনের আবেদন জানানো হয়েছিল’।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন,‘আমি মনে করি বিল নিয়ে মানুষের মনে যে বিভ্ৰান্তির সৃষ্টি হয়েছিল তা কেটে গেছে। কারণ কেন্দ্ৰ পরিষ্কার করে বলেছে,এব্যাপারে রাজ্যের সব দাবিদারদের আস্থায় এনেই বিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিলে অসমের কোনও ক্ষতি হোক সেটা আমরা কিছুতেই হতে দেবো না। কিন্তু তার পরও একটা শ্ৰেণি বিল নিয়ে বিভ্ৰান্তি সৃষ্টির চেষ্টা কারছে-বলেন সোনোয়াল।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম