
বয়স দিয়ে কারো বীরত্ব ও সাহস যাচাই করা কখনোই সম্ভব নয়। একথা আবারও প্ৰমাণ করলো ১১ বছরের একটি কিশোর কমলকিশোর দাস। বুধবার ব্ৰহ্মপুত্ৰে নৌকো ডুবির মুখ থেকে তিন জনকে প্ৰাণ বাঁচিয়ে বীরত্বের এক নজির তুলে ধরল গুয়াহাটির এই কিশোর। বুধবার নৌকো ডুবির ঘটনার সময় কমল তার মা,পিসি এবং অন্য একজন অপরিচিতকে নদীর জলে তলিয়ে যাওয়ার মুখ থেকে উদ্ধার করতে সফল হয়। ঘটনার দিন কমল তার ঠাকুমাকে নামিয়ে দিয়ে উত্তর গুয়াহাটি থেকে মা ও পিসিকে নিয়ে ওই নৌকোয় ফিরছিল।
নৌকো ডুবির আঁচ পেয়েই কমলের মা কমলকে নিরাপদে পারে ভিড়তে বলেন। মায়ের আদেশ মেনে কমল সাঁতরে পাড়ে ভিড়ে। কিন্তু পরক্ষণেই মা ও পিসি ডুবে যাওয়ার কথা ভেবে ফের নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে মা,পিসি ও অন্য এক অপরিচিতকে চুল ধরে টেনে নদীর মধ্যে থাকা একটি পাকা পিলারের সামনে নিয়ে আসে। ঘটনার বিবরণ দিয়ে কমল বলেছে,নৌকোটি নদীতে থাকা পিলারে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যাওয়ার উপক্ৰম হলে আমার মা আমাকে সাঁতরে পাড়ে যেতে বলেন। আমিও মায়ের নির্দেশে তাই করি। কিন্তু পাড়ে ভিড়েই আমার মনে পড়ে মা সাঁতার জানেন না। তার পরই আমি আবার নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ি এবং মা,পিসি ও অন্য একজনকে পিলারের কাছে নিয়ে আসতে সফল হই। কিন্তু এরই মধ্যে একজন মহিলা ও তার শিশুকে বাঁচাতে না পারার দুঃখ প্ৰকাশ করে কমল।