বিরোধী দলে থেকেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে চমলপ্ৰদ সফলতা পাওয়ার জন্য অসমবাসীকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছে প্ৰদেশ কংগ্ৰেস। উল্লেখ্য,পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল প্ৰকাশ্যে আসার পর প্ৰথমবারের জন্য শুক্ৰবার প্ৰদেশ কংগ্ৰেসের গুয়াহাটির সদর দপ্তর রাজীব ভবনে সাংবাদিক সন্মেলদ ডেকে দলের সাধারণ সম্পাদক দূর্গাদাস বোড়ো,সাধারন সম্পাদিকা ববিতা শর্মা এবং অন্যতম সাধারণ সম্পাদক মুকুল শর্মা বলেন,২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্ৰেস দল প্ৰায় ৮০ শতাংশ আসন লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল।
ওই নির্বাচনে বর্তমানের শাসকদলের পক্ষে থাকা সেসময়ের বিরোধী দল সমুহ ধুলিস্যাৎ হয়েছিল। ‘দিশপুর যার পঞ্চায়েত তার’ শ্লোগানের মাধ্যমে বিরোধীদলগুলি নিঃচিহ্ন হয়ে যাওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করে তাঁরা বলেন,কিন্তু সেটা হয়নি। ক্ষমতাসীন বিজেপি দল ধনবল-বাহুবল প্ৰদর্শন করে,হেলিকপ্তার উড়িয়ে,মুখ্যমন্ত্ৰী এবং অন্যান্য মন্ত্ৰীরা নির্বাচনি আচরন বিধি লঙ্ঘন করে এবং ভোটারকে হুমকি দিয়ে প্ৰচার চালিয়ও ৫০ শতাংশ আসনও দখল করতে পারেনি।
বলেন,এর পরিবর্তে কংগ্ৰেস দল বিজেপি-এর চে কিছু কম আসন পেয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্ৰচলিত শ্লোগানকে উপেক্ষা করে জনগণ কংগ্ৰেসের প্ৰতি আনুগত্য প্ৰকাশ করেছেন। তাঁদের কথা কংগ্ৰেস দলের মোট বিধায়ক এবং সাংসদের সংখ্যা অনু্যায়ী পঞ্চায়েতে লাভ করা আসনের সংখ্যা বহু বেশি এবং সন্তোশজনক। অন্যদিকে মন্থর গতিতে অনুষ্ঠিত হওয়া ভোট গণনা প্ৰক্ৰিয়া নিয়ে প্ৰতিক্ৰীয়া প্ৰকাশ করে প্ৰদেশ কংগ্ৰেসের নেতৃত্ব বলেন,প্ৰথম পর্যায়ে বেশকয়েকটি কংগ্ৰেস নেতার স্বএলাকায় ফলাফল সন্তোশজনক নয় বলে প্ৰচার হয়েছিল।
কিন্তু শেষ পর্যায়ে দলের উত্থানের বিষয়ে সঠিকভাবে প্ৰচার হয়েছিল। এমনকি প্ৰদেশ কংগ্ৰেসের সভাপতি গৃহ বিধানসভা কেন্দ্ৰকে নিয়েও সংবাদ পরিবেশন হয়েছে। এ নিয়ে তাঁরা বলেন,রাজয় সভার সাংসদ এবং প্ৰদেশ কংগ্ৰেসের সভাপতি হিসেবে গুরু দায়িত্বে রয়েছেন রিপুন বরা। এছাড়া তিনি নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে প্ৰচারে ব্যস্ত ছিলেন। দলের বর্তমানের চমকপ্ৰদ ফলাফলের জন্য সম্পূর্ণ কৃতিত্ব তাঁরই। সামুগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্ৰের দুটো জেলা পরিষদ এবং ২৩টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২টি কংগ্ৰেসের ঝুলিতে এসেছে বলে মন্তব্য করে তাঁরা বলেন,প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ,বিরোধী দলপতি দেবব্ৰত শইকিয়ার বিধানসভা কেন্দ্ৰ সহ গোলাঘাট,মরিয়নিতে আমাদের দল শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে।