Begin typing your search above and press return to search.

পাসপোর্ট ও ফরেনার্স রুলস নিয়ে কেন্দ্ৰ ও রাজ্য সরকারকে অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ সুপ্ৰিমকোর্টের

পাসপোর্ট ও ফরেনার্স রুলস নিয়ে কেন্দ্ৰ ও রাজ্য সরকারকে অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ সুপ্ৰিমকোর্টের

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  6 March 2019 10:47 AM GMT

নয়াদিল্লিঃ উদ্বাস্ত হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিতে আগ্ৰহী কেন্দ্ৰের বিজেপি ও অসম সরকারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ফের নোটিশ ইস্যু করলো সুপ্ৰিমকোর্ট।পাসপোর্ট রুলস এবং ফরেনার্স রুল সম্পর্কিত দুটো বিজ্ঞপ্তিতে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক পড়শি দেশে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে এদেশে আসা হিন্দুদের অবৈধ অনুপ্ৰবেশকারী হিসেবে গন্য না করার নির্দেশিকা জারি করেছিল। এছাড়া বৈধভাবে এদেশে আসা হিন্দুদের ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাদের ভারতে বৈধভাবে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰকের ওই বিজ্ঞপ্তিতে পড়শি দেশে থেকে আসা মুসলিমদের ক্ষেত্ৰে এই সু্যোগ দেওয়া হয়নি।

মুসলিমদের বাদ দিয়ে শুধু হিন্দুদের জন্য পাসপোর্ট নীতি এবং ফরেনার্স রুল শিথিল করার প্ৰতিবাদে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্ৰিমকোর্টে একটি আবেদন দাখিল করে অসম রাজ্য জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ। এর আগে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী বিরোধী মঞ্চও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ জানিয়ে সুপ্ৰিমকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছিল। পাসপোর্ট নীতি ও ফরেনার্স রুল সংশোধনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী বিরোধী মঞ্চ। মঙ্গলবার জমিয়ত উলেমার দাখিল করা এই আবেদনের শুনানি গ্ৰহণ করে মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও সঞ্জীব খান্নাকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ পড়শি দেশ থেকে আগতদের জন্য ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব কেন-এ সম্পর্কে কেন্দ্ৰ ও রাজ্য সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে নোটিশ ইস্যু করে।

উল্লেখ্য,আদালত এর আগে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী বিরোধী মঞ্চের এক রিট আবেদনের শুনানি গ্ৰহণ করে কেন্দ্ৰ ও রাজ্য সরকারকে অনুরূপ নোটিশ জারি করেছিল। দুটো পিটিশনের বিষয়বস্ত এক হওয়ায় বেঞ্চ এবিষয়ে একইসঙ্গে শুনানি গ্ৰহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ২৭ ফেব্ৰুয়ারি কোর্ট কেন্দ্ৰের বিরুদ্ধে যে নোটিশ দিয়েছিল তাতে সরকারকে জবাব দেওয়ার জন্য ছয় সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছিল।

জমিয়ত তাদের আবেদনে বলেছে পাসপোর্ট নীতি ও ফরেনার্স রুল পরিমার্জনের প্ৰস্তাবটি সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক।

প্ৰসঙ্গত,ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে এদেশে আসা লোকেদের ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দিতে কেন্দ্ৰীয় সরকার ২০১৫ সালে দুটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। এর পর ২০১৬-তে কেন্দ্ৰের বিজেপি সরকার আরও একটি বিজ্ঞতি জারি করে। ২০১৫-র ৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক পাসপোর্ট এণ্ট্ৰি(ইনটু ইন্ডিয়া)এমেন্ডমেন্ট রুলস এবং ফরেনার্স এমেন্ডমেন্ট অর্ডারের মাধ্যমে পড়শি বাংলাদেশ,পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে হিন্দুদের অবৈধ অনুপ্ৰবেশকারী হিসেবে গণ্য না করার নির্দেশিকা জারি করে। এমন কি বৈধভাবে আসা লোকেদের ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাদের এদেশে থাকার অনুমতি দিয়েছিল। কেন্দ্ৰের জারি করা ওই তিনটি নির্দেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নাগরিকত্ব আইন সংশধনী বিরোধী মঞ্চ ও রাজ্য জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ সুপ্ৰিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়।

সুপ্ৰিমকোর্ট গতকাল জমিয়তের রিট আবেদনের শুনানির পর এব্যাপারে কেন্দ্ৰ ও রাজ্য সরকারকে হলফনামা সহ তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছে।

আবেদনকারীরা বলেছে,১৫ সালে কোনওরকম আইন সংশোধন না করেই সরকার ওই দুটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। ২০১৫-সালের ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করা ছাড়াও ২০১৬-তে জারি করা স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰকের নির্দেশ বাতিল করার আর্জি জানিয়েছেন আবেদনকারীরা। অসমের ভূমিপুত্ৰদের সংস্কৃতি,পরম্পরার সুরক্ষা ও সংরক্ষণে কেন্দ্ৰকে সক্ৰিয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিতেও আদালতের কাজে আর্জি জানিয়েছে আবেদনকারীরা।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম