নয়াদিল্লিঃ প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী তথা ভারতীয় রাজনীতির পিতামহ অটলবিহারী বাজপেয়ীর অন্ত্যেষ্টি অনুষ্ঠান শুক্ৰবার বিকেলে রাষ্ট্ৰীয় স্মৃতিস্থলে পূর্ণ সামরিক কায়দায় সম্পন্ন করা হয়। নতুনদিল্লির এইমসে বৃহস্পতিবার ৯৩ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাজপেয়ী। প্ৰিয় নেতাকে শেষ শ্ৰদ্ধা জানাতে সহস্ৰাধীক মানুষ স্মৃতিস্থলে উপচে পড়েন। বৈদিক মন্ত্ৰ উচ্চারণ ও সেনাবাহিনীর ২১ বার তোপধ্বনির মধ্যে প্ৰয়াত নেতার পালিত কন্যা নমিতা ভট্টাচার্য তাঁর মুখাগ্নি করেন।
রাষ্ট্ৰপতি রামনাথ কোবিন্দ,উপরাষ্ট্ৰপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু,প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি সহ বহু রাজনৈতিক নেতা ও বিদেশি প্ৰতিনিধি ও অসংখ্য শোকবিহ্বল মানুষ যমুনা নদীর পারে নির্দিষ্ট স্থান রাষ্ট্ৰীয় স্মৃতিস্থলে এসে বাজপেয়ীকে শেষ বিদায় জানান চোখের জলে। নেতারা অন্তিম শ্ৰদ্ধা জানানোর আগে তিন সেনা প্ৰধান মহান নেতার নশ্বর দেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। প্ৰয়াত নেতার দেহে জড়ানো তেরঙা সরিয়ে নিয়ে তা তাঁর পালিত নাতনি নীহারিকার হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং এর পরই মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় অন্তিম শ্ৰদ্ধা জানানোর জন্য।
প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী মনমোহন সিং,লোকসভার অধ্যক্ষ সুমিত্ৰা মহাজন,প্ৰবীণ বিজেপি নেতা এবং বাজপেয়ীর দীর্ঘদিনের সহযোগী লালকৃষ্ণ আডবাণী,মুরলী মনোহর যোশী,আরএসএস প্ৰধান মোহন ভাগবত,স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী রাজনাথ সিং,বিদেশমন্ত্ৰী সুষমা স্বরাজ,প্ৰতিরক্ষামন্ত্ৰী নির্মলা সীতারমন ও কংগ্ৰেস সভাপতি রাহুল গান্ধী উপস্থিত ছিলেন অন্ত্যেষ্টি অনুষ্ঠানে।
ভুটানের রাজা জিগমে কেশর নামগিয়াল ওয়াংচুক,প্ৰাক্তন আফগান প্ৰেসিডেন্ট হামিদ খারজাই-এর নেতৃত্বে আসা বিদেশি প্ৰতিনিধিদল,নেপালের বিদেশমন্ত্ৰী প্ৰদীপ কুমার গেয়ালি,শ্ৰীলঙ্কার কার্যনির্বাহী বিদেশমন্ত্ৰী লক্ষণ কিরিলা এবং বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্ৰী আবুল হাসান মেহমুদ আলিও বাজপেয়ীকে শ্ৰদ্ধা জানান। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰীরাও অংশ নেন অন্ত্যেষ্টিতে।
বাজপেয়ীর প্ৰতি শ্ৰদ্ধা জানাতে দেশ সাতদিনের রাষ্ট্ৰীয় শোক পালন করছে। ভারতরত্নের প্ৰতি শ্ৰদ্ধা জানিয়ে জাতীয় পতাকা থাকবে অর্ধনমিত।