
গুয়াহাটিঃ জ্বালানির বিশেষ করে পেট্ৰোল,ডিজেল ও আবশ্যক পণ্যের অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধির প্ৰতিবাদে সোমবার বিধানসভা অধিবেশনের প্ৰথম দিন উত্তাল হয়ে ওঠে সদন। কংগ্ৰেস এবং এআইইউডিএফ-এর বিরোধী বিধায়করা ইস্যুটি নিয়ে আলোচনার জন্য মুলতবি প্ৰস্তাব আনেন। বিরোধীরা বিধানসভার অন্যান্য কাজ স্থগিত রেখে কেবল মাত্ৰ মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবিতে শ্লোগান দিয়ে সদন উত্তাল করে তোলেন। অধ্যক্ষ হিতেন্দ্ৰনাথ গোস্বামী এবিষয়ে কোনও রুলিং দেওয়া সংরক্ষিত রাখায় সদনের পরিস্থিতি সরগরম হয়ে উঠে।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্ৰণে সরকারের ব্যর্থতার উল্লেখ করে কংগ্ৰেস ও এআইইউডিএফ বিধায়করা হাতে প্ল্যাকার্ড উঁচিয়ে অধ্যক্ষের ওয়েলের সামনে এসে তাঁকে ঘেরাও করেন। পাশাপাশি শ্লোগানে শ্লোগানে সদনে উত্তপ্ত হাওয়া বইতে শুরু করে। পরিস্থিতি একটা সময় নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় অধ্যক্ষ কিছুক্ষণের জন্য সদন মুলতবি রাখতে বাধ্য হয়ে পড়েন। পরে সদন বসলে কংগ্ৰেস বিধায়ক অজন্তা নেয়োগ বলেন,তেলের মূল্য প্ৰতিদিনই বাড়ছে। এরফলে পরিবহণ সংস্থাগুলো ভাড়া বৃদ্ধির দাবি তুলেছে। অথচ সরকার পেট্ৰোল,ডিজেলের মূল্য নিয়ন্ত্ৰণে কোনও পদক্ষেপই নেয়নি। তাই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা জরুরি।
এআইইউডিএফ বিধায়ক হাফিজ রশিদ বসির আহমেদ বলেন,সরকারের ভুল নীতির জন্যই পেট্ৰোল,ডিজেল ও আবশ্যক পণ্যের মূল্য বেড়ে চলেছে। মূল্যবৃদ্ধির ফলে আম জনতাকেই ভুগতে হচ্ছে। বিরোধী নেতা দেবব্ৰত শইকিয়া বলেন,ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ বাস ভাড়া বৃদ্ধির দাবি উঠেছে এবং পরিবহণ মন্ত্ৰী পরোক্ষে ওই দাবিটি সমর্থন করেছেন। রাজ্য সরকার চাইলে আবগারি শুল্ক এবং স্টেট ট্যাক্স কিছু কমিয়ে জনগণকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে।
সাংসদ বিষয়ক মন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি বলেন,পেট্ৰোল ডিজেলের মূল্য নির্ধারণ করে আন্তর্জাতিক বাজার। দিল্লি,দিশপুরের এই ইস্যুতে করনীয় কিছু নেই। তবে এটা ঠিক,অন্যান্য সামগ্ৰীর মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হতেই পারে এবং এটা একটা চলতি প্ৰক্ৰিয়া। পরে অন্য কোনও ডিভাইসে এই বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। অধ্যক্ষ তখন জানিয়ে দেন এবিষয়ে এদিন তিনি কোনও রুলিং দেবেন না। রুলিং মঙ্গলবারই দেবেন। কিন্তু বিরোধীরা তাতেও দাবি ছাড়েনি। এরপরই অধ্যক্ষ সারাদিনের জন্য সদন মুলতবি করে দেন।