Begin typing your search above and press return to search.

‘প্ৰতারকদের’ বিরুদ্ধে এইচপিসি কর্মীদের সমাবেশ

‘প্ৰতারকদের’ বিরুদ্ধে এইচপিসি কর্মীদের সমাবেশ

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  4 April 2019 9:57 AM GMT

গুয়াহাটিঃ এইচপিসি পেপার মিলস রিভাইভ্যাল অ্যাকশন কমিটি জনগণের সঙ্গে যারা প্ৰতারণা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ভোটাধিকার প্ৰয়োগ করার জন্য রাজ্যের ভোটারদের প্ৰতি আহ্বান জানিয়েছে। কমিটির মুখ্য আহ্বায়ক আনন্দ বরদলৈ বুধবার এখানে এক সমাবেশে এই আহ্বান জানিয়ে বলেন,প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি এবং মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল তিন বছর আগে হিন্দুস্তান কাগজ নিগমের কাছাড় ও নগাঁও কাগজ কল দুটি পুনরুজ্জীবিত করার প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ অবধি তাঁরা কোনও কিছুই করেননি। নগাঁও কাগজ কলের বরদলৈ এখানে প্ৰচার মাধ্যমকে বলেন,‘সরকার এই বিষয়টি নিয়ে আজ অবধি কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় কল দুটোর কর্মীরা অনাহারে,অর্ধাহারে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন’। না খেতে পেয়ে কল দুটোর ৫১ জন কর্মী অকালে মারা গেছেন। আরও দুজন আত্মহত্যা করেছেন এই দুর্বিষহ যাতনা সইতে না পেরে-উল্লেখ করেন তিনি।

এই ইস্যুটি নিয়ে আজ অবধি কোনও সমাধানে পৌঁছতে না পারায় সরকারকে দোষারোপ করে বরদলৈ বলেন,‘এখন আমরা এই শোচনীয় পরিস্থিতির কথা রাজ্যের মানুষের সামনে তুলে ধরতে বাধ্য হচ্ছি’।

কমিটির আহ্বায়ক কাছাড় কাগজ কলের দীপক চন্দ্ৰ নাথ বলেন,‘সরকার লাভজনক কিছু শিল্পোদ্যোগ জলের দরে বিক্ৰি করার চক্ৰান্ত করছে। এরমধ্যে অসমের এই কাগজ কল দুটিও রয়েছে। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উপকৃত করার লক্ষ্যে সরকার ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর থেকে কাছাড় কাগজ কলে উৎপাদন পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর ২০১৭-র ১৩ মার্চ নগাঁও কাগজ কলেও উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি বরাক উপত্যকার পাঁচগ্ৰামে পেপার মিল সহ ৩২ হাজার ক্ষুদ্ৰ ও বড় শিল্প পুনরুজ্জীবিত করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এতগুলি দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও কোনও কিছুই করা হয়নি। অনুরূপভাবে মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়ালও ২০১৭-র ১৮ নভেম্বর ‘নমামি বরাক’ উৎসবের সময় কাগজ কল পুনরুজ্জীবিত করার একই আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমন কি সোনোয়াল এটাও বলেছিলেন,ছমাসের মধ্যে কাগজ কলের কর্মীরা তাদের বেতন ও অন্যান্য সু্যোগ সুবিধা পাবেন। কিন্তু এগুলো যে মিথ্যে প্ৰতিশ্ৰুতি ছিল তা আজ স্পষ্ট হয়ে গেছে-বলেন তিনি।

২০১৮ সালের ২৭ আগস্টে সংসদ দুটো কাগজ কলের কর্মীদের বেতন বাবদ ৯০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু ওই টাকা আজ অবধি রিলিজ করা হয়নি-উল্লেখ করেন নাথ।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম