প্ৰধানমন্ত্ৰীর হাত ধরেই উদ্বোধন হল বগীবিল সেতুর

খুলে গেল দেশের দীর্ঘতম রেল-রোড ব্রিজ। মঙ্গলবার অসমে সেই সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৫৯০০ কোটি টাকা খরচে তেরি হয়েছে এই সেতু। ১২০ বছর পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে সেতুটির।একদিকে মোদীর হাত ধরে যখন বৃহৎ এই ব্রিজের পথ চলা শুরু হবে। অন্যদিকে এই রুটেই প্রথম প্যাসেঞ্জার ট্রেনের উদ্বোধন করলেন মোদী।ব্রহ্মপুত্র নদের উপর তৈরি বগীবিল সেতু দিয়ে সপ্তাহে পাঁচদিন চলবে তিনশুকিয়া-নাহারলাগুন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস।
ব্রহ্মপুত্র নদের উপর তৈরি প্রায় ৫ কিমি ব্রিজ অসমের তিনসুকিয়া থেকে অরুণাচল প্রদেশের নাহারলাগুন শহরের মধ্যে এক ধাক্কায় অনেকটাই দূরত্ব কমিয়ে দেবে। ফলে যাত্রীদের অনেকাংশেই সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যাতায়াতের সময়ও কমে যাবে অনেকটা। রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তিনসুকিয়া থেকে দুপুরে ছাড়বে এই প্যাসেঞ্জার ট্রেন। ১৪ বগি পুরোটাই চেহার কার কামড়ার এই ট্রেন সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। দুপুরে তিনসুকিয়া থেকে ছাড়লেও পরের দিন সকালে নাহারলাগুন শহরে পৌঁছে যাবে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ এই ব্রিজের উপর দিয়ে এই ট্রেন যাওয়ার ফলে দুই শহরের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ১০ ঘন্টা কমে যাবে বলে মনে করছেন রেল আধিকারিকরা।প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া। সমীক্ষা, মাপজোক, ব্রিজ তৈরি সম্ভব কিনা— সেসব খতিয়ে দেখতেই পাঁচ বছর কেটে যায়। রেল সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পর ২০০২ সালে নির্মাণ কাজের সূচনা করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। দৈর্ঘ্য প্রায় পাঁচ কিলোমিটার (৪.৯৪)। খরচ হয়েছে ৫৯২০ কোটি টাকা। ২১ বছর আগেকার সেই ভিত্তিপ্রস্তর থেকেই ধীরে ধীরে ব্রহ্মপুত্রের বুক চিরে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বগীবিল ব্রিজ। আর এবার সম্পূর্ণ প্রস্তুত দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ দোতলা ব্রিজ। বাজপেয়ীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর এই ব্রিজে একইসঙ্গে রেল এবং সড়কপথের উদ্বোধন করবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।