‘প্ৰশ্নপত্ৰ ফাঁস’-এর তদন্তে সাইবার বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগালো সেবা

‘প্ৰশ্নপত্ৰ ফাঁস’-এর তদন্তে সাইবার বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগালো সেবা
Published on

গুয়াহাটিঃ রাজ্যে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া মাধ্যমিক ও হাইমাদ্ৰাসা চূড়ান্ত পরীক্ষার প্ৰথম দিন প্ৰশ্নপত্ৰ ফাঁসের রিপোর্ট সংক্ৰান্ত অভি্যোগের তদন্তে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ(সেবা)সাইবার বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগিয়েছে।

নগাঁও জেলার জাজরি পরীক্ষা কেন্দ্ৰ থেকে বৃহস্পতিবার ইংরেজি প্ৰশ্নপত্ৰ ফাঁসের অভিযোগে রিপোর্ট প্ৰকাশিত হয়েছিল। সেবা এই ঘটনাকে ভুয়া আখ্যা দিয়ে বলেছিল কোনও দুষ্কৃতী ঝামেলা পাকাতে এমন গুজব ছড়িয়েছে।

‘বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে যদি প্ৰশ্নপত্ৰ বিলি করা হতো তাহলে আমরা ওই ঘটনাকে লিকেজের ঘটনা বলে ধরে নিতে পারতাম’। আমাদের হাতে আসা খবর অনু্যায়ী,বেলা ১১ টার পর প্ৰশ্নপত্ৰ বাইরে আসে। এব্যাপারে আমরা সাইবার গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগিয়েছি প্ৰকৃত সময়,স্থান এবং কোনও মোবাইল নম্বর থেকে প্ৰশ্নপত্ৰ ফাঁসের খবর ছড়ানো হয়েছে তা চিহ্নিত করতে’। সেবার পরীক্ষা নিয়ন্ত্ৰক নয়নজ্যোতি শর্মা একথা জানান।

প্ৰশ্নপত্ৰ ফাঁসের খবর ছড়াতেই পুলিশ কর্মকর্তারা জাজরি পরীক্ষা কেন্দ্ৰে ছুটে যান এবং তদন্ত চালানোর সময় হোয়াটস অ্যাপ-এর একটি বার্তা ট্ৰেপ করা হয়। তবে ওই বার্তার মূল উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া বাকি আছে-বলেন শর্মা।

নিয়ম অনু্যায়ী পরীক্ষায় বসা একজন ছাত্ৰ পরীক্ষার একঘন্টা পর প্ৰশ্নপত্ৰ ছাড়া হল থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। অন্যদিকে,পরীক্ষা শুরুর দুঘন্টা পর যদি কোনও ছাত্ৰ হল থেকে বেরোতে চায় তাহলে ওই ছাত্ৰটি প্ৰশ্নপত্ৰ সমেত বেরোতে পারবে।

এবার মাধ্যমিক ও হাই মাদ্ৰাসা চূড়ান্ত পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছে ৩,৫২,১৪৩ জন ছাত্ৰ-ছাত্ৰী। পরীক্ষা চলাকালীন নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য পরীক্ষা হলে দুটো সিসিটিভি ক্যামেরা,পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে এলইডি লাইট বসানো হয়েছে। রাজ্যের মোট ৮৫৭টি কেন্দ্ৰে পরীক্ষা হচ্ছে।সেবার অধ্যক্ষ রমেশ চন্দ্ৰ জৈন বলেন,পরীক্ষার স্থান থেকে ৫০ মিটার দূরে পরীক্ষা চলাকালীন ১৪৪ ধারা বলবৎ করা হয়েছে। পরীক্ষা চলার সময় যেকোনও ধরনের অসাধু কার্যকলাপ রুখতেই এই ব্যবস্থা। স্পর্শকাতর কেন্দ্ৰগুলিতে ফ্লাইং স্কোয়াডও মোতায়েন করেছে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ।

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com