ফরেনার্স ডিটেনশন ইস্যু নিয়ে দিশপুরকে ভর্ৎসনা সুপ্ৰিম কোর্টের

নয়াদিল্লিঃ ফরেনার্স ডিটেনশন ইস্যু নিয়ে সুপ্ৰিমকোর্ট সোমবার রাজ্য সরকাকে তীব্ৰ ভর্ৎসনা করেছে। অসমে ৭০ হাজার ঘোষিত অবৈধ বিদেশির কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এতো অবৈধ বিদেশি কোথায় উধাও হলো? এই ইস্যু নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলার(আইপিএল)শুনানিকালে মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাশীন ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের তরফে হলফনামা পেশকারী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে বলেছে আপনি এপর্যন্ত কি করেছেন? ৭০ হাজার ঘোষিত অবৈধ বিদেশি উধাও হয়ে গেল কিংবা তারা মূল জনস্ৰোতে মিশে গিয়েছে। তাই এদের এখন খুঁজে পেতে আপনি কি করবেন?
৭০ হাজার অবৈধ বিদেশির ঠিকানাহীন হওয়া এবং আরও সহস্ৰাধিক অঘোষিত বিদেশিকে নিয়ে পরিকল্পনা অথবা ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা সম্পর্কে স্পষ্ট ব্যাখ্যা তুলে ধরতে ব্যর্থতার জন্য রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে কোর্ট। মামলাটি নিয়ে গত শুনানিকালে অসম সরকারের মুখ্য সচিবকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু মুখ্যসচিব উপস্থিত না থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্ৰেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে বলে সলিসিটর জেনারেল মেহতাকে বলে আদালত। তবে মেহতার অনুরোধে সাড়া দিয়ে কোর্ট আগামি ৮ এপ্ৰিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে। ওই দিন মুখ্যসচিব অলোক কুমারকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত থাকার কড়া নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে কোর্টের নির্দেশ ছাড়া মুখ্যসচিব যেন অসমে ফিরে না যান।
মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ,বিচারপতি দীপক গুপ্তা ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটির শুনানি গ্ৰহণ করে। রাজ্যে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক চিহ্নিত অবৈধ বিদেশিদের দুরবস্থাকে তুলে ধরে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী হরিশ মন্দার ওই জনস্বার্থ মামলাটি দাখিল করেছিলেন।
আদালত আরও বলেছে,যে সব ঘোষিত অবৈধ বিদেশি মূল জনস্ৰোতে মিশে গেছে তাদের চিহ্নিত করতে রাজ্য সরকার কী পরিকল্পনা করছে আমরা তা জানতে চাই। আর এর জন্যই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এখানে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। আদালত অবশ্য আগে বলেছিল একজন অবৈধ বিদেশিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আবদ্ধ করে রাখা যায় না। এটা সম্ভবও নয়।