বগিবিল সেতু গতকাল উদ্বোধন করলেন প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী। কিন্তু এই উদ্বোধনকে কেন্দ্ৰ করে শুরু হল রাজনৈতিক তর্জা। শুধু তাই নয়,এই সেতুটি নির্মাণকে নিয়ে চলছে কৃতিত্বের লড়াই। এমনকি প্ৰধানমন্ত্ৰী-র বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের আঙুল তুলল প্ৰদেশ কংগ্ৰেস নেতৃত্ব।
বুধবার প্ৰদেশ কংগ্ৰেসের সদর দপ্তর গুয়াহাটি রাজীব ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে পরিষদীয় দল নেতা দেবব্ৰত শইকিয়া,প্ৰাক্তন মন্ত্ৰী রকিবুল হুসেন ও প্ৰাক্তন মন্ত্ৰী প্ৰদ্যুৎ বরদলৈ,প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী এবং বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হন। বলেন,বগিবিল সেতু এবং কংগ্ৰেসের অন্যান্য উনয়ণমূলক কাজ নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে।
প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী শিষ্টাচার জানেন না। কেননা সেতুটি নির্মাণের ক্ষেত্ৰে যাদের যাদের অবদান রয়েছে,তাঁদের নামও উচ্চারন করনেন না। প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী এইস ডি দেবেগৌড়া,প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী মনমোহন সিং,প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈকে সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্ৰন জানানো হল না বলে অভিযোগ করে তাঁরা বলেন,মোদী সত্যকে লুকিয়ে ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করছেন। মিথ্যার আশ্ৰয় নিয়েছেন। বলেন,অসমে সাম্প্ৰদায়িকতার বিজ রোপন করতে চাইছে বিজেপি সরকার।
অন্যদিকে,কাছাড় ও নগাঁও কাগজ কল পুনরুজ্জিবিত প্ৰসঙ্গ মোদীর ভাষণে ঠাই পেল না বলে অভিযোগ করে তাঁরা বলেন,কাগজ কল দুটি চালু করার প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছিলেন ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে। এমনকি ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত অসম বিধানসভা নির্বাচনেও ইস্যু হিসেবে বেছে নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ক্ষমতা দখলের পর এই সমস্যা সমাধানে কোনও পদক্ষপেই নিল না। পরিবর্তে কাগজ কলের কর্মচারীদের দুর্গতি দিন দিন বেড়ে গেল। বলেন,বগিবিল,সরাইঘাটের পুরনো সেতু,ধলাশদিয়া সেতু সবটাই ইউপিএ আমলে নির্মিত। মোদী শুধু ফিতা কেটেছেন।