বনধ সংস্কৃতি চা উদ্যোগের ক্ষেত্ৰে নতুন হুমকিঃ এনইটিএ

গুয়াহাটিঃ রাজ্যের চা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা নিয়ে যখন ব্যাপক টানাপোড়েন চলছে সেই সময় গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো রাজ্যের বনধ সংস্কৃতি এই শিল্পের ক্ষেত্ৰে নতুন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বনধ এবং আন্দোলনের একটা ধারা অসমে লেগেই আছে। তবে বনধ চা বাগানের কাজকর্মে আজ অবধি বিশেষ কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। কিন্তু সাম্প্ৰতিককালে বিভিন্ন সংগঠনের(স্বীকৃত নয়)ঘন ঘন বনধের ডাকে বাগানের কাজকর্ম স্তব্ধ হয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। সবুজ চা পাতা সহজেই পচনশীল।
সারা আদিবাসী ছাত্ৰ সংস্থা(এএএসএএ)চা শ্ৰমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সোমবার বনধ ডেকে বসে। সবুজ চা পাতা তোলা নিত্যদিনের কাজ। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই চা পাতার প্ৰক্ৰিয়াকরণের কাজ সারতে হয়। ক্ষতি এড়াতে এবং চায়ের গুণগত মান বাঁচানোর জন্যই প্ৰক্ৰিয়াকরণের কাজ সম্পন্ন করতে হয় যথাসময়ে। এই অভিমত উত্তরপূর্ব চা সংস্থার(এনইটিএ)।নেটার মতে,আগের দিন তোলা চা পাতা পড়ে থাকলে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। তাই তোলা চা পাতা পরের দিনের জন্য ফেলে রাখা সমীচীন নয়। চা হচ্ছে অসমের জীবনরেখা স্বরূপ উদ্যোগ। লক্ষলক্ষ মানুষ চা শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। নেটার মতে,বেতন বৃদ্ধির সাম্প্ৰতিক দাবিটি চা উদ্যোগকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্ৰে ইতিমধ্যেই একটা উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।
‘প্ৰতিকূল আবহাওয়া চা শিল্পের ক্ষেত্ৰে লাগাতার চ্যালেঞ্জ হওয়া ছাড়াও চায়ের নিলাম মূল্য গত কয়েক বছর ধরে একই অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে উৎপাদন ব্যয়ও দিনদিন বাড়ছে। এহেন সংকটকজনক পরিস্থিতিতে ঘনঘন বনধের ডাক চা শিল্পের সরাসরি আর্থিক ক্ষতির কারণ,যা বাগান কর্তৃপক্ষের বহন করা সম্ভব হবে না। অবিলম্বে ঘন ঘন বনধ ডাকা বন্ধ না হলে চা শিল্পকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে’-বলেন নেটার চেয়ারম্যান নিপুল শইকিয়া। ‘চা বাগানগুলিতে স্বাভাবিক কাজকর্ম যাতে অব্যাহত থাকে তার জন্য ব্যবস্থা নিতে আমরা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি’।