আজ পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল। বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনা। রাজ্যের কিছু কিছু জাইগায় দেরিতে শুরু হওয়া গণনায় প্ৰাথমিকভাবে বিক্ষিপ্ত উত্তেজনা দেখা গেলেও,মনোনয়ন বা ভোট গ্ৰহণের দিনের মতো হিংসা দেখা যায়নি। তুলনায় অনেকটা বেশি সতর্ক ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। ভোট গণনা কেন্দ্ৰের সামনে অবাঞ্চইত ভির দেখলেই ভটিয়ে দিয়েছে পুলিশ। ছাড় দেওয়া হয়নি শাসক দলের কর্মীদেরও। এর মধ্যে উল্লেখ্য,রাজ্যে মোট ২৬ টি জেলার ৪০টি কেন্দ্ৰে এখনও চলছে ভোট গণনা প্ৰক্ৰিয়া। নির্নয় হবে মোট ৭৮ হাজার ৫৭১ জন প্ৰার্থীর ভাগ্য।
এর মধ্যে প্ৰথম দফায় মোট ৪৩,৫১৫ জন এবং দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়েছে মোট ৩৫,০৫৬ জন। প্ৰথম দফায় তিনসুকিয়া,ডিব্ৰুগড়,শিবসাগর,চরাইদেউ,যোরহাট,মাজুলি,গোলাঘাট,নগাঁও,ধেমাজি,লক্ষিমপুর,বিশ্বনাথ,শোণিতপুর,দরং,মরিগাঁও,কামরূপ ও কামরূপ(মহানগর) ভোট হয়েছিল। অন্যদিকে দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল নলবাড়ি,বরপেটা,বঙ্গাইগাঁও,ধুবুড়ি,দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর,গোয়ালপাড়া,কাছাড়,হাইলাকান্দি,করিমগঞ্জ ও হোজাইয়ে।
জেলা পরিষদের সদস্য মোট ৪২০, আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের সদস্য পদ ২,১৯৯, গ্ৰাম পঞ্চায়েতের সভাপতি পদে ২,১৯৯ এবং গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ২১,৯৯০ সদস্য পদের জন্য এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অন্যদিকে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা প্ৰতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন ৭৩৪ জন প্ৰার্থী। এরমধ্যে ৩৮০ জন বিজেপি, ১৯৩ জন কংগ্ৰেসের, ২৮ জন অগপ, ১০ জন এআইইউডিএফ-এর, ১ জন সিপিআই(এম),৫ জন বিপিএফ-এর এবং ১১৭ জন নির্দলীয় প্ৰার্থী। প্ৰথম দফায় বিনা প্ৰতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছেন ৪৪২ জন প্ৰার্থী এবং দ্বিতীয় দফায় ২৯২ জন প্ৰার্থী জয়ী হয়েছে।
তবে এদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গণনায় রাজ্যের বিভিন্ন প্ৰান্ত থেকে প্ৰাপ্ত খবর অনুযায়ী-
# আমিনগাঁও ভোট গণনা কেন্দ্ৰে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। প্ৰবেশ পথে পরিচয় পত্ৰ পরীক্ষয় বিলম্ব হওয়ায় গণনায় নিয়োক করা অফিসার ও অন্যান্য কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পুলিশি ব্যারিকেট ভেঙে ভিতরে প্ৰবেশের চেষ্টা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্ৰণের জন্য পুলিশের লাঠিচালনা।
# করিমগঞ্জের এমএমসি বালিকা বিদ্যালয় ভোট গণনা কেন্দ্ৰ চত্ত্বরে পুলিশের লাঠিচালনা। দলিয় এজেন্ট প্ৰবেশে বাধা দেওয়ায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ওই জেলার দুটি কেন্দ্ৰে সকাল ১১ টার পর শুরু হয়নি ভোট গণনা।
# মরিগাঁও ভোট গণনা কেন্দ্ৰে ওয়ার্ড মেম্বারের একজন প্ৰার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন।