Begin typing your search above and press return to search.

বিজেপিকে নতুন করে জনরায় নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন প্ৰফুল্ল মহন্ত

বিজেপিকে নতুন করে জনরায় নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন প্ৰফুল্ল মহন্ত

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  9 Jan 2019 1:32 PM GMT

গুয়াহাটিঃ জোট সরকার থেকে অসম গণ পরিষদ(অগপ)দল বেরিয়ে আসার পর প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত মঙ্গলবার সর্বানন্দ সোনোয়াল সরকারকে নতুন করে জনরায় নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। অগপ জোট ছাড়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মহন্ত বলেন,সরকারের সাহস থাকলে নতুন করে জনরায় নিয়ে তারা সরকার গড়ে দেখাক। অসম গণ পরিষদের প্ৰতিষ্ঠাতা সভাপতি মহন্ত গতকাল সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য পেশ করছিলেন। তিনি বলেন,অগপ এবং বিপিএফ দলের সঙ্গে প্ৰাক নির্বাচনী আঁতাত করেই বিজেপি সরকার গড়েছিল। দুই শরিক জোট থেকে তিনজন করে মন্ত্ৰীকে ঠাঁই দেওয়া হয়েছিল সরকারে।

কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্ৰত্যাহারে রাজ্য ও কেন্দ্ৰীয় সরকারকে রাজি করাতে লাগাতার চেষ্টা করেও কাজ না হওয়ায় অগপ জোট সরকার থেকে বেরিয়ে আসে। মহন্ত পরিষ্কার করে বলেন,অগপ জোট ছাড়ার পর শাসক দলের দিশপুরের ক্ষমতা ধরে রাখার কোনই নৈতিক অধিকার নেই। তাঁর মতে,একমাত্ৰ প্ৰাক নির্বাচনী আঁতাতের প্ৰতি লক্ষ্য রেখেই জনগণ ওই রায় দিয়েছিলেন। নাগরিকত্ব বিলকে কেন্দ্ৰ করে অগপ জোট থেকে বেরিয়ে আসার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রাজ্যে নতুন করে জনরায় নেওয়ার দাবি উত্থাপন করলেন মহন্ত। প্ৰাক নির্বাচনী আঁতাতের ফলেই বিজেপি-র গরিষ্ঠসংখ্যক সদস্য বিধায়ক হয়েছিলেন।

বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মুখ্যমন্ত্ৰী সহ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর পেয়েছিল তাদের মন্ত্ৰীরা। অগপ ও বিপিএফ-এর তিনজন করে বিধায়ককে মন্ত্ৰিসভায় রাখা হয়েছিল। ওই সময় অগপ ও বিপিএফ-এর সঙ্গে জোট না হলে বিজেপি-র ক্ষমতা দখল সহজ হতো না বলেই তিনি মনে করেন। এখন অগপ জোট ছাড়ায় বিজেপি-র ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই-বলেন মহন্ত। তিনি আরও বলেন,জোটের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই সরকারের নীতি নির্ধারণ করা উচিত ছিল। কিন্তু অসমে বিজেপি নিজস্ব ভাবেই সবনীতি নির্ধারণ করেছে এবং তা আগপ ও বিপিএফ-এর উপর চাপিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন,মাজুলিতে বিজেপি-র কর্মসমিতির বৈঠকে নাগরিকত্ব বিলের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু সরকারের শরিক দলগুলির সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা করা হয়নি। অসম চুক্তিকে সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ করে উত্থাপিত ওই বিল অগপ-র পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্ৰকৃতার্থে অগপ-র অবস্থানকে বিদ্ৰুপ করেছে বিজেপি। তাই অগপ-র অনেক আগেই জোট থেকে বেরিয়ে আসা উচিত ছিল। তবে শেষপর্যন্ত দলে জোট ছাড়ায় এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। তিনি বলেন,অগপ শুধু দলের স্বার্থেই জোট ছাড়েনি,রাজ্য ও রাজ্যের মানুষের স্বার্থেই জোট ছেড়েছে-উল্লেখ করেন তিনি। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বিটিএডিতে কোনও প্ৰভাব ফেলবে না বলে বিটিসি প্ৰধান হাগ্ৰামা মহিলারি যে বিবৃতি রেখেছেন সে ব্যাপারে মহন্তের প্ৰতিক্ৰিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,‘এই বিল বিটিএডিতেও প্ৰভাব ফেলবে। বিতর্কিত বিলটি পাস হলে অসম আন্দোলনে শহিদ হওয়া ৮৬০ জন শহিদের আত্মহত্যা বৃথায় যাবে।

এদিকে জোট সরকার থেকে বেরিয়ে আসা অগপর তিন মন্ত্ৰী আজ সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়ালের হাতে তাঁদের পদত্যাগ পত্ৰ তুলে দেবেন বলে জানা গেছে। এই তিনজন কৃষিমন্ত্ৰী অতুল বরা,জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্ৰী কেশব মহন্ত এবং খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্ৰী ফণীভূষণ চৌধুরী।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম