উচ্চবর্ণের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রস্তাবিত বিল বুধবারই পেশ হবে রাজ্যসভায়৷ বিলের ভাগ্য নিয়ে দ্বিধায় মোদী সরকার৷ একইসঙ্গে এদিন রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতেই হইচই শুরু করে বিরোধীরা৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা৷ বিলের প্রতিবাদে সরব হন বিরোধী সাংসদরা৷ উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উচ্চ কক্ষ৷ আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার৷ প্রস্তাবিত সংরক্ষণ বিলটি মঙ্গলবারই পাস হয়ে গিয়েছে লোকসভায়৷
এবার পালা রাজ্যসভায়৷ প্রস্তাবিত সংরক্ষণ বিলটি বুধবারই সংসদের উচ্চকক্ষে পেশ করবে সরকার পক্ষ৷ কংগ্রেস সহ বিরোধীরা বিল পাসের ক্ষেত্রে সমর্থনের কথা জানিয়েছে৷ বাস্তবে তাদের পদক্ষেপ কী হয় সেদিকেই নজর গেরুয়া শিবিরের৷ আপাপতত রাজ্যসভায় সংরক্ষণ বিল পাসই অগ্নিপরীক্ষা মোদী-শাহ জুটির কাছে৷লোকসভায় প্রায় সব বিরোধীই এখনও পর্যন্ত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বিলকে সমর্থন করেছে।
তবে কোনও দল প্রস্তাবিত বিলটি জেপিসিতে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে, তো কেউ আবার বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর পক্ষে সওয়াল করে। তবে বিরোধীদের সেসব দাবি মানেনি মোদী সরকার৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্যসভায় সংরক্ষণ বিল পাস করানো নিয়ে নানা জল্পনা৷বর্তমানে রাজ্যসভায় মোট ২৪৪ জন সদস্যের মধ্যে এনডিএর সদস্য রয়েছেন ৭৩ জন৷ বিরোধীদের সংখ্যা ১২১৷ এর মধ্যে কংগ্রেসের সদস্য ৫০ জন৷ ফলে রাজ্যসভায় মোদী সরকারের সংখ্যালঘু৷ তাদের প্রয়োজন ১২৩টি ভোট৷
যদিও উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বিল আইনে পরিণত করতে প্রয়োজন বিরোধীদের সমর্থন৷ ইতিমধ্যেই কংগ্রেস জানিয়েছে তারা প্রস্তাবিত সংরক্ষণ বিলটি সমর্থন করবে৷ বাকিরা কী করবেন?অনেকেই মনে করছে সরাসরি কংগ্রেসের মতো ওই প্রস্তাবিত বিলের পক্ষে তারা ভোট দেবেন না৷ সভা বয়কট করবে৷ ফলে মসৃণ হয়ে যাবে বিল পাসের রাস্তা৷ কথায় বলে না আঁচালে বিশ্বাস নেই৷ তাই প্রধান বিরোধী দল বিলকে সমর্থনের কথা বললেও স্বস্তিতে নেই গেরুয়া বাহিনী৷