বিরোধী ঐক্যের ধারণা ব্যর্থ,১৯-এর নির্বাচনে পূর্বের রেকর্ড ভাঙবে এনডিএঃ মোদি

নয়াদিল্লিঃ ‘রাজনৈতিক ফায়দা’ তুলতে বিরোধীদের মহাজোট গড়ার পরিকল্পনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে এটাকে একটা ব্যর্থ ধারণা বলে উল্লেখ করেছেন প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি। একই সঙ্গে বেশ দৃঢ়তার সুরেই মোদি বলেন,১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট আগের চেয়েও বেশি আসন পাবে,যা সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে।
শাসক দল ন্যাশনাল ডেমোক্ৰ্যাটিক অ্যালায়েন্সে(এনডিএ)চিড় ধরার কথা একবাক্যে উড়িয়ে দেন মোদি। বলেন,লোকসভায় আস্থাভোটে সরকারের জয় এবং রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচন থেকেই স্পষ্ট যে এনডিএ-র শক্তি অটুটই রয়েছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মোদি গণপিটুনির ঘটনার নিন্দা করেন। এজাতীয় ঘটনার উদ্দেশ্য যাই হোক এটা অপরাধ-বলেন তিনি।
’১৯-এর নির্বাচনে আমরা গতবারের চেয়েও বেশি আসন পাবো এবং আমি বিশ্বাস করি এনডিএ এবার আগের সব রেকর্ড ভেঙে এগিয়ে যাবে’। তিনি বলেন,বিজেপি ক্ষমতার রাশ হাতে তুলে নেওয়ার পর বিশ্ব দরবারে ভারতের অবস্থানের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। ৩০ বছর পর দল দেশকে একটা শক্তিশালী ও কর্মক্ষম স্থায়ী সরকার উপহার দিতে পেরেছে। বিরোধীদের মহাজোট সম্পর্কে মানুষের মধ্যে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারা ভোটারদের জোট গড়তে পারবে না।
‘ভারতীয় ভোটাররা বরাবরই দেশের স্বার্থকে শীর্ষে স্থান দিতে আগ্ৰহী। মানুষের এই ধারণার প্ৰতি আমার অগাধ আস্থা আছে। গণপিটুনির ঘটনাকে অপরাধ আখ্যা দিয়ে মোদি বলেন,কোনও পরিস্থিতিতেই কোনও মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে এবং হিংসায় লিপ্ত হতে পারেন না’। এধরনের হিংসায় যারা লিপ্ত হচ্ছেন আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাজার ব্যবস্থা করা হবে।
অসমে নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি)নবায়ন প্ৰসঙ্গে মোদি বলেন,৭২ সালে ইন্দিরা-মুজিব স্বাক্ষরিত চুক্তির প্ৰতিশ্ৰুতি ছিল অবৈধ অনুপ্ৰবেশ প্ৰতিরোধ। ১৯৮৫ সালে রাজীব গান্ধী ও সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থার(আসু)মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির বিষয়বস্তুও একই। যদিও কংগ্ৰেস এটা মেনে নিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু ভোট ব্যাংকের স্বার্থে তারা চুক্তির প্ৰকৃত রূপায়ণ প্ৰক্ৰিয়ায় গুরুত্ব দেয়নি। কংগ্ৰেসের রাজনৈতিক সদিচ্ছায় যে ঘাটতি ছিল এটা তারই জানান দেয়-বলেন তিনি।