বিল বাতিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীর হাতে এখনও সময় রয়েছেঃ আসু

গুয়াহাটিঃ নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল ২০১৬ প্ৰত্যাহার করে নেওয়ার জন্য প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদিকে খুলে বলতে সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা(আসু)মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়ালের কাছে আর্জি জানিয়েছে।
অসম চুক্তির ৬নং দফা রূপায়ণে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনে কেন্দ্ৰীয় সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সোনোয়াল আসু নেতাদের প্ৰ্তি আহ্বান জানানোর পরপরই ছাত্ৰ সংগঠনটির তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্ৰীর কাছে এই আবেদন জানানো হয়।
মুখ্যমন্ত্ৰী গত মঙ্গলবার নগাঁওয়ে ভোগালি বিহুর এক অনুষ্ঠানে ছাত্ৰ সংগঠনটির প্ৰতি ওই আহ্বান জানিয়েছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল সম্পর্কে মতামত রেখেছেন মুখ্যমন্ত্ৰী।
মুখ্যমন্ত্ৰীর আবেদনের জবাব দিতে গিয়ে আসুর মুখ্য উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল কুমার ভট্টাচার্য বুধবার দ্য সেন্টিনেলকে বলেন,নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্ৰত্যাহারে প্ৰধানমন্ত্ৰীকে বুঝিয়ে,শুনিয়ে রাজি করাতে এখনও সময় রয়েছে। আমরা চাইছি মুখ্যমন্ত্ৰী সোনোয়াল এবং তাঁর মন্ত্ৰিসভা এধরনেরই একটা পদক্ষেপ নিন। ‘অসম চুক্তির ৫নং দফাকে হত্যা করে ৬নং দফা রূপায়ণ করা অর্থহীন।১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ মাঝরাতের পর আসা সব বাংলাদেশিকে বহিষ্কার করে চুক্তির ৬নং দফা রূপায়ণ করা চাই’। চুক্তির ৬নং দফা নিয়ে ইতিপূর্বেই একটি কমিটি গড়া হয়েছিল। এই চুক্তির ৬নং দফা রূপায়ণে পূর্বতন কমিটি যে খানে কাজ অর্ধসমাপ্ত রেখেছিল সেখান থেকে কাজ শুরু করতে হবে’।
‘২০১৬ সালের বিধানসভার নির্বাচনের আগে সোনোয়াল বলেছিলেন অসমের ভূমিপুত্ৰদের স্বার্থ সুরক্ষিত করা হবে। ওই আশ্বাসের পরই রাজ্যের মানুষ ভোট দিয়ে তাঁকে ক্ষমতায় মসনদে বসান। কিন্তু নয়াদিল্লি অসম-বিরোধী নাগরিকত্ব বিল রাজ্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করার সময় রাজ্যের মানুষ আশা করেছিলেন সোনোয়াল ওই বিলের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেবেন। কিন্তু সোনোয়ালকে এধরনের কোনও পদক্ষেপ নিতে না দেখে রাজ্যের মানুষ হতাশই হয়েছেন’-বলেন সমুজ্জ্বল। অসমের বিদেশি নাগরিক সমস্যা অসম চুক্তির মধ্যে থেকেই সমাধান করতে হবে। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-র ভিশন ডকুমেণ্টে আসম চুক্তির দ্ৰুত রূপায়ণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। ওই ডকুমেণ্টে বাংলাদেশি হিন্দুর কোনও উল্লেখ ছিল না। তিনি বলেন,‘উত্তর পূর্বাঞ্চলের বেশকটি সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্ৰস্তাব গ্ৰহণ করেছে। অসম সরকারও ওই বিলের বিরুদ্ধে এমন বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিক-রাজ্যের মানুষ তাই চাইছেন’।
১৯৭১-এর ২৪ মার্চ মাঝরাতের পর যে সব বিদেশি অসমে ঢুকেছে তাদের শনাক্ত করে বহিষ্কার করার কথাই অসম চুক্তির ৫নং দফায় সন্নিবিষ্ট রয়েছে বলে ভট্টাচার্য উল্লেখ করেন।