গুয়াহাটিঃ সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা(আসু)এবং উত্তর পূর্ব ছাত্ৰ সংগঠন(নেসো)রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল ২০১৯ ভোটাভুটির মাধ্যমে প্ৰত্যাখ্যান করার জন্য নতুন দিল্লিতে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দলগুলির প্ৰতি আহ্বান জানিয়েছে। বিলটি ভোটাভুটির জন্য রাজ্যসভায় পেশ করার সময় দলগুলিকে সদনে ওয়াকআউট না করতে অনুরোধ জানিয়েছে তারা। আসু,নেসো এবং নেসোর বিভিন্ন ছাত্ৰ সংগঠনের প্ৰতিনিধিরা ভোটাভুটিতে যাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি খারিজ হয়ে যায় তারজন্য দিল্লিতে লবি গড়ার আপ্ৰাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উত্তর পূর্বাঞ্চলের ছাত্ৰ নেতারা বিভিন্ন দলের সাংসদদের এটা বোঝানোর চেষ্টা করছে যে বিতর্কিত বিলটির শুধু বিরোধিতা করলেই উদ্দেশ্য সফল হবে না। কারণ আসু এবং নেসো মনে করে যে কোনও দল যদি বিতর্কিত বিলের বিরোধিতা করে সদনে ওয়াকআউট করে তাহলে শাসক দল রাজ্যসভায় কম সদস্য নিয়েই বিল পাস করিয়ে নেওয়ার সু্যোগ পেয়ে যাবে।
এই বিষয়টি অনুধাবন করে ছাত্ৰ নেতারা যে সব দলের সদস্যরা বিলের বিরোধিতা করেছেন তারা যেন কোনওভাবেই সদনে ওয়াকআউট না করেন। আর এমনটা করলেই তাঁরা বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন। তাই বিল উত্থাপনের দিন বিল বিরোধী সাংসদের পূর্ণ শক্তি নিয়ে উচ্চ সদনে উপস্থিত থাকার জন্য ছাত্ৰ নেতারা আবেদন জানিয়েছেন।
ছাত্ৰ প্ৰতিনিধিদলটি জনতা দল(ইউ)নেতা কেসি ত্যাগী,এসপি-র জাভেদ আলি খান,ডিএমকে সাংসদ টি শিবা,বিপিএফ সাংসদ বিশ্বজিৎ দৈমারি এবং অন্যান্যদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই দেখা করেছেন। এসপি দলের ১৩ জন সাংসদ রয়েছে রাজ্যসভায়।
বিতর্কিত বিলের বিরুদ্ধে জনতা দলের(ইউ)অবস্থানের কথা ফের উল্লেখ করে ত্যাগী বলেন,‘এনডিএ-র শরিক হওয়া সত্ত্বেও আমরা রাজ্যসভায় এই বিলের বিরোধিতা করবো। বিলের বিরোধিতা করার জন্য আমরা অন্যান্য দলকেও বোঝানোর চেষ্টা করছি’।
প্ৰতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনাকালে সাংসদ বিশ্বজিৎ দৈমারি বলেন,‘বিলটি যদি ভোটাভুটির জন্য পেশ করা হয় আমাদের দল অবশ্যই একটা সিদ্ধান্ত নেবে এবং সেই সিদ্ধান্ত অসম এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যের পক্ষেই যাবে’।
জাভেদ আলি খান বলেন,‘আমরা যৌথ সংসদীয় কমিটির(জেপিসি)বৈঠকের সময়ই এই বিলের বিরোধিতা করেছিলাম। প্ৰতিনিধি দলে শামিল রয়েছেন নেসোর সভাপতি স্যামুয়েল বি জিরওয়াই,সাধারণ সম্পাদক সাইনাম প্ৰকাশ,উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল কুমার ভট্টাচার্য,আসু সভাপতি দীপাঙ্ক কুমার নাথ এবং সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ এবং খাসি ছাত্ৰ সংস্থা,সারা মণিপুর ছাত্ৰ সংস্থা,নাগা স্টুডেন্টস ফেডারেশন,ত্ৰিপুরা ছাত্ৰ ফেডারেশন,মিজো জিরলাই পাওল ও গারো ছাত্ৰ ইউনিয়নের প্ৰতিনিধিরা।
ছাত্ৰ নেতারা সোমবার সন্ধ্যায় মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্ৰী কনরাড কে সাংমা এবং উত্তর পূর্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকেও মিলিত হন। ছাত্ৰ নেতারা বলেন,কেন্দ্ৰ উত্তর পূর্বাঞ্চলকে দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে। কেন্দ্ৰীয় সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে তারা বলেন,অসম এবং উত্তর পূর্বের অন্যান্য রাজ্যে বিল বিরোধী আন্দোলন চলতে থাকবে।