ভোটের মুখে উঃপূর্বাঞ্চল থেকে ৩.৭৬ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত

গুয়াহাটিঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার ঠেকাতে উত্তর পূর্বাঞ্চলের আয়কর সঞ্চালকালয়(তদন্ত)নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করে তুলেছে। বিভাগটি এই অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে সন্দেহজনক লেনদেনের কাজে ব্যবহারের জন্য নেওয়া ৩.৭৬ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। চলতি বছরের ১৮ মার্চ সংসদীয় নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকে গত ৩ এপ্ৰিল পর্যন্ত আয়কর সঞ্চালকালয় বিমানবন্দর সহ বিভিন্ন স্থান থেকে ৩.৭৬ কোটি টাকা নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত করে। মঙ্গলবার মাঝরাতে অরুণাচল প্ৰদেশের মুখ্যমন্ত্ৰী পেমা খান্ডু এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি তাপির গাঁও-এর কনভয়ে তল্লাশি চালিয়ে মোট ১.৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় আয়কর(তদন্ত)বিভাগের প্ৰিন্সিপাল ডিরেক্টর সঞ্জয় বাহাদুর বুধবার সন্ধ্যায় এখানে সাংবাদিকদের বলেন,ডিরেক্টরেটের স্বতন্ত্ৰ গোয়েন্দারা খবর পেয়েছেন যে এসপ্তাহে গ্ৰামীণ এবং সমবায় ব্যাংক সহ বিভিন্ন ব্যাংকে প্ৰচুর পরিমাণে সন্দেহজনক অর্থ জমা পড়েছে। অনুরূপভাবে প্ৰচুর পরিমাণে সন্দেহজনক অর্থ ব্যাংক থেকে তোলার খবরও রয়েছে-উল্লেখ করেন সঞ্জয় বাহাদুর।
গোয়েন্দা সূত্ৰটি এই আভাসও দিয়েছে,এই টাকার মোটা ভাগই অপব্যবহার করা হতে পারে। অবাধ ও মুক্ত নির্বাচনে এর প্ৰভাব পড়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোটারদের প্ৰলোভিত করতে এই টাকা ব্যবহার করা হতে পারে বলে তিনি সন্দেহ প্ৰকাশ করেন। তিনি বলেন,ভোটের সময় অবৈধ লেনদেন রোধে নির্বাচন কমিশন কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে। ব্যাংকে দশ লক্ষ টাকার বেশি জমা দেওয়া বা তোলার ক্ষেত্ৰে আয়কর বিভাগকে জানানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু এধরনের দেনদেনের তথ্য পাচ্ছে না আয়কর বিভাগ। জেলা নির্বাচনী কর্তারা ওই নির্দেশনা ঠিকঠাক পালন না করারও অভিযোগ রয়েছে।
তাছাড়া ব্যাংকগুলিও কমিশনের নির্দেশনার কথা কথা জানে না বলে জানিয়েছে। তবে নির্বাচনী খরচের দিকে নজর রাখতে আয়কর বিভাগ নিজস্ব সোর্সগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সঞ্জয় বাহাদুর বলেন,রিজার্ভ ব্যাংক,ফিনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট এবং বড় মাপের ব্যাংকগুলিকে ১০ লক্ষের বেশি টাকা লেনদেনের তথ্য আয়কর বিভাগকে জানাতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন,সন্দেহজনক টাকা লুকনো এবং লেনদেনের ক্ষেত্ৰে সম্ভবত ব্যাংকগুলিকে ব্যবহার করা হতে পারে। এরকম কিছু তথ্য আয়কর বিভাগের হাতে এসেছে। কয়েকটি বড় ব্যাংক থেকে গত দশদিনে ১০ লক্ষের বেশি টাকা লেনদেনের ১০০টির বেশি ঘটনা আয়কর বিভাগের নজরে এসেছে-উল্লেখ করেন বাহাদুর। তবে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে আয়কর বিভাগ।