গুয়াহাটিঃ স্বচ্ছ ভারত অভিযান কর্মসূচির অধীনে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রাজ্য তথা গুয়াহাটি মহানগরীতে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মহানগরী গুয়াহাটির হাল ফেরেনি। পুর নাগরিকদের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন না হলে এ শহর আবর্জনা মুক্ত রাখা কখনোই সম্ভব হবে না। এমনটাই অভিমত সচেতন মহলের। তাই মহানগরীর বিভিন্ন অলিগলি এবং ব্যস্ত পথের পাশে হামেশাই নোংরা আবর্জনার স্তূপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। এই সব আবর্জনার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে প্ৰতিনিয়ত।
সেই সঙ্গে দূষিত হচ্ছে বাতাস ও পরিবেশ। ব্যস্ত পথের পাশে আবর্জনার স্তূপ পুতি গন্ধময় পরিবেশের সৃষ্টি করছে। আসাম পুলিশ সিপিআরও কার্যালয়ের সামনে এবং উলুবাড়ির ডিজিপি কার্যালয়ের উল্টোদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আবর্জনার স্তূপ এক অসহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করছে। এলাকাগুলো পরিচ্ছন্ন রাখতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এভাবে খোলা রাস্তায় আবর্জনা ফেলার বিরুদ্ধে বাধা দিতে আজ অবধি নেওয়া হয়নি কোনও পদক্ষেপ। একই জায়গায় জঞ্জাল জমা হয়ে স্তূপের আকার নিয়েছে।
দিনের পর অপরিচ্ছন্নতার ফলে এলাকাগুলি রীতিমতো দূষিত হয়ে পড়েছে। সব কিছুর জন্য শুধু সরকারের কাঁধে দোষ চাপালে চলবে না। পুর নাগরিক তথা সমাজেরও এক্ষেত্ৰে অনেকটাই করণীয় রয়েছে। কিছু মানুষ আবর্জনাগুলো রাস্তায় থাকা ডাষ্টবিনের কাছে ছুঁড়ে ফেলছেন। এই আবর্জনা থেকে যে সমাজে নানা রকম রোগ ব্যাধির প্ৰাদুর্ভাব ঘটতে পারে সে সম্পর্কে পুরো সমাজকে সচেতন হতে হবে। তা না হলে মহানগরী পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব হবে না। তাই প্ৰত্যেক পুর নাগরিকের দায়িত্ব নিজের নিজের এলাকা সাফ সুতরো রাখা। প্ৰতিজন ব্যক্তি বিশেষ এই দায়িত্ব পালন করলে শহর পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্য সম্মত রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।