মাধ্যমিকে পরীক্ষা কেন্দ্ৰে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে পরীক্ষার্থীকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কারঃ সেবা

মাধ্যমিকে পরীক্ষা কেন্দ্ৰে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে পরীক্ষার্থীকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কারঃ সেবা
Published on

গুয়াহাটিঃ চলতি মাধ্যমিক ও হাই মাদ্ৰাসা চূড়ান্ত পরীক্ষার প্ৰথম দিন প্ৰশ্নপত্ৰ ফাঁসের অভিযোগ সংক্ৰান্ত খবর প্ৰকাশিত হয়েছিল। এরই পরিপ্ৰেক্ষিতে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ,অসম(সেবা)এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে পরীক্ষা কেন্দ্ৰের ভিতর মোবাইল ফোন হাতে কোনও ছাত্ৰছাত্ৰী ধরা পড়লে তাদের তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হবে।

সেবার এক কর্মকর্তা দ্য সেন্টিনেলকে বলেছেন,সারা রাজ্যে পরীক্ষা কেন্দ্ৰগুলির দায়িত্বে যারা রয়েছেন তাঁদের এই সিদ্ধান্তের কথা ইতিধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্ৰগুলি পর্ষদের এই সিদ্ধান্তের কথা নোটিশ বোর্ডে স্পষ্ট করে লিখে ঝুলিয়ে দেবে-বলেন তিনি। পরীক্ষা কেন্দ্ৰে মোবাইল ফোন বয়ে আনা নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও কিছু ছাত্ৰ বেপরোয়াভাবে নকল করার উদ্দেশ্যে সেল ফোন ব্যবহার করার রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্ৰের দায়িত্বে থাকা একাংশ ব্যক্তির প্ৰকৃত তদারকির অভাবে কিছু ছাত্ৰ মোবাইল ফোন ব্যবহারে সফল হয়েছে। কিন্তু এখন থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহারে যারা হাতেনাতে ধরা পড়বে তাদের মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া থেকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হবে-বলেন কর্মকর্তাটি।

উল্লেখ্য,এবার ৩,৪২,৭০২ জন ছাত্ৰছাত্ৰী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে এবং হাই মাদ্ৰাসা পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছে ৯৪৪১ জন। পরীক্ষা হছে রাজ্যের ৮৫৭টি কেন্দ্ৰে। সর্বোচ্চ সংখ্যক ২৬,০৮০ জন ছাত্ৰছাত্ৰী পরীক্ষা দিচ্ছে নগাঁও জেলায়। ডিমা হাসাওয়ে সবচেয়ে কম মাত্ৰ ২৭৫১ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে।

পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার স্বার্থে পরীক্ষা হলে সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পর্যাপ্ত আলোর জন্য এলইডি বালবের ব্যবস্থা করেছে সেবা। তাছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন যেকোনও অপ্ৰীতিকর ঘটনা রুখতেই এই ব্যবস্থা-বলেন সেবার আধিকারিক। টোকাটুকি ও অসাধু কার্যকলাপ ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেছে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। নগাঁও জেলার জাজরি হাইস্কুলে গত ১৪ ফেব্ৰুয়ারি প্ৰশ্নপত্ৰ ফাঁসের অভিযোগের তদন্তে সাইবার বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানো হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তাটি।

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com