মিজোরামে ভোট দানে ব্ৰু শরণার্থীদের অসুবিধার কথা হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে খুলে বলল এমবিডিপিএফ

শিলচরঃ উত্তর ত্ৰিপুরার শরণার্থী শিবিরে আশ্ৰিত ব্ৰু শরণার্থীদের মিজোরাম বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়া নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল,অবশেষে তার সমাধানে পৌঁছনো গেছে। আগামি ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় মিজোরাম বিধানসভার নির্বাচনে প্ৰায় ১২ হাজার ব্ৰু শরণার্থী নিজেদের ভোটাধিকার প্ৰয়োগ করতে পারবেন। মিজোরামের মামিট জেলার নির্বাচিত ভোট কেন্দ্ৰে ভোটাধিকার প্ৰয়োগ করতে পারবেন ব্ৰু শরণার্থীরা। মামিট জেলার কানমুনে ব্ৰু শরণার্থীদের ভোটাধিকার প্ৰয়োগের জন্য ভোটকেন্দ্ৰ স্থাপন করা হবে। মিজোরাম ব্ৰু ডিসপ্লেচড পিপলস ফোরাম(এমবিডিপিএফ)শরণার্থীরা যাতে শিবিরে থেকেই ভোট দিতে পারেন তার অনুমতি সংগ্ৰহের জন্য লড়াই করছে। অতীতেও শিবিরে থেকেই ভোট দিয়েছেন ব্ৰু শরণার্থীরা।
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ব্ৰুনো মসা মিজোরাম-ত্ৰিপুরা সীমান্তের কানমুনে ভোট কেন্দ্ৰের স্থান ঠিক করায় ক্ষোভ প্ৰকাশ করেছেন। তাঁর মতে,শরণার্থীদের কানমুনে যেতে হলে ৪০-৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। ব্ৰুনো আরও বলেছেন,অসুস্থ ও বয়স্ক শরণার্থীদের পক্ষে এতটা পথ অতিক্ৰম করে ভোট দেওয়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এতে শারীরিক ধকল সহ্য করাও কঠিন হবে অসুস্থ ও বয়স্ক শরণার্থীদের ক্ষেত্ৰে। তাছাড়া শরণার্থীদের সন্তান ও অন্যান্য ক্ষেত্ৰেও নিরাপত্তার প্ৰশ্নটিও রয়েছে-বলেন ব্ৰুনো। শিবির থেকে কানমুনে কেন ভোট গ্ৰহণ কেন্দ্ৰ স্থানান্তর করা হচ্ছে তার কারণ বুঝে উঠতে পারছে না ফোরাম।
‘যোগ্য ব্ৰু ভোটাররা কড়া নিরাপত্তা ও নজরদারির মধ্যে শিবিরে থেকে বিনা বাধায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে তাঁদের ভোটাধিকার অনায়াসে প্ৰয়োগ করতে পারবেন’-উল্লেখ করেন তিনি। মহিলা,কিছু গর্ভবতী মহিলা,বৃদ্ধ এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটারদের এতটা পথ অতিক্ৰম করে ভোট দেওয়া যে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে সেকথা বিবেচনা করে ফোরামের সদস্যরা বুধবার গুয়াহাটিতে মন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। উল্লেখ্য,শর্মা মিজোরাম বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র সমস্ত দায়িত্ব দেখাশোনা করছেন।
ব্ৰুনো আরও বলেন,‘আমরা আমাদের মনোভাব ও অসুবিধার কথা শর্মাকে খুলে বলেছি এবং অনুরোধ করেছি যাতে ব্ৰু শরণার্থীরা শিবিরে থেকে ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্ৰয়োগ করতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে। বিষয়টি বিবেচনার জন্য মিজোরামের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আশিস কুন্দ্ৰার কাছে তোলার জন্যও আমরা শর্মাকে অনুরোধ করেছি-বলেন ব্ৰুনো। রাজ্যে পর্যায়ক্ৰমে নির্বাচন করার জন্যও ফোরাম অনুরোধ করেছে,যাতে সব ভোটাররা তাদের সুবিধা মতো ভোট দিতে পারেন।