Begin typing your search above and press return to search.

মিজোরাম নির্বাচনে জয় নয়,ভিত গড়াই বিজেপি-র লক্ষ্যঃ হিমন্ত

মিজোরাম নির্বাচনে জয় নয়,ভিত গড়াই বিজেপি-র লক্ষ্যঃ হিমন্ত

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  24 Nov 2018 10:08 AM GMT

গুয়াহাটিঃ উত্তর পূর্ব গণতান্ত্ৰিক জোটের(এনইডিএ)আহবায়ক তথা বরিষ্ঠ বিজেপি নেতা হিমন্তবিশ্ব শর্মা,যিনি মিজোরাম নির্বাচনের মূল কৌশল ও পরিকল্পনাকারীদের একজন বলেন,২৮ নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় ওই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সব কেন্দ্ৰে প্ৰার্থী দিতে দল এবার সর্বোচ্চ অগ্ৰাধিকার দিয়েছে। শর্মা বলেন,দলীয় সদস্যরা চেষ্টা করছেন মিজোরামে দলের ভিত শক্ত করতে। ‘মিজোরামে বিজেপি তেমন কোনও বড় দল নয়। আমি মনে করি এই রাজ্যে কংগ্ৰেস এবং মিজো ন্যাশনাল ফ্ৰন্ট(এমএনএফ)এর মধ্যেই মূল লড়াই হবে। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের ভাবমূর্তি গড়ে তোলার। সরকার গড়া নিয়ে আমরা ভাবছি না। রাজ্যে বিজেপি-র উপস্থিতি জাহির করার ওপরই আমরা বিশেষ ভাবে আলোকপাত করছি। সারা রাজ্যের সব কেন্দ্ৰে আমাদের প্ৰার্থী থাকা উচিত এবং আমরা এক্ষেত্ৰেই প্ৰথম অগ্ৰাধিকার দিয়েছি’-বলেন শর্মা।

উল্লেখ্য,মিজোরাম বিধানসভার আসন্ন নির্বাচনে মোট ২০১৯ জন প্ৰার্থী লড়াইয়ের আসরে রয়েছেন। শাসক দল কংগ্ৰেস এবং এমএনএফ ৪০টি আসনেই প্ৰতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বিজেপি প্ৰার্থী দিয়েছে ৩৯ কেন্দ্ৰে।

বিজেপি কোনওদিনেই মিজোরাম বিধানসভার নির্বাচন জিততে পারেনি। এরাজ্যের জন সংখ্যা প্ৰায় ১০ লক্ষ। এরমধ্যে ৭.৬৮ লক্ষ ভোটার অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। বিজেপি এরাজ্যে সব বিকল্প পথই খোলা রেখেছে। উল্লেখ্য,শর্মা মিজোরাম নির্বাচনে বিজেপির দায়িত্বে রয়েছেন। কংগ্ৰেস যদিও প্ৰতিদ্বন্দ্বী দল,নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্ৰী লালথালহাওলার সঙ্গে বিকল্প পথ উদ্ভাবন নিয়ে বিজেপি কথা বলতে পারে।

‘মিজোরামে কংগ্ৰেসের সংবিধান সম্পূর্ণ ভিন্ন। দিল্লির সঙ্গে তার তালমিল নেই। এই প্ৰথম আমরা প্ৰায় সব আসনেই প্ৰার্থী দিয়েছি। লালথানহাওলা স্বাধীনভাবেই সব সিদ্ধান্ত নিতে পারেন’-বলেন শর্মা।

এদিকে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্ৰী লালথানহাওলা বলেছেন,নির্বাচনের পর বিজেপি তাকে অংশীদার করার জন্য আঁতাত করার আগ্ৰহ দেখিয়েছে। এতে কংগ্ৰেস গভীর জলে নিমজ্জিত হবে। ৭৬ বছর বয়সী নেতা লালথানহাওলা বলেন,এসবের প্ৰয়োজন হবে না। তিনি উপর্যুপরি তৃতীয়বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰী নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়তে পারবেন বলে মনে করেন।

অন্যদিকে এমএনএফ রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। বিধানসভায় এই দলের দখলে রয়েছে ৫টি আসন। দলটি নির্বাচনের আগে বা পরে বিজেপি-র সঙ্গে কোনও আঁতাতে যেতে ইতিপূর্বে অস্বীকার করেছিল।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম