গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া জেলার কসন গ্রামে জঙ্গলের ভিতরে অবস্থিত একটি বেআইনি কয়লা খাদানে (যেগুলিকে র্যাট হোল মাইনিং বলা হয়) নেমেছিলেন ওই শ্রমিকরা। ওই খাদানের পাশ দিয়েই বইছে লিটিয়েন নদী। কিন্তু ওই খাদানের ভিতরে থাকা ১৫ শ্রমিকের জীবন নিয়ে টানাটানি চলছে এখনও।
মূলত উদ্ধার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবের কারণেই মৃত্যুুর মুখ থেকে তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।মেঘালয়ের এই ঘটনাই এ বার রাজনৈতিক রং পেয়ে গেল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর মন্তব্যে। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ১৫ খনিশ্রমিক দু’সপ্তাহ ধরে জলমগ্ন খনির মধ্যে বাতাসের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্টো দিকে একই সময়ে প্রধানমন্ত্রী তখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে পোজ দিচ্ছেন।
তাঁর সরকার উচ্চক্ষমতার পাম্প দিয়ে জল নিষ্কাশনে অনীহা দেখাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, দয়া করে তাঁদের বাঁচান।উল্লেখ্য, উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে যে পাম্প দিয়ে জল নিষ্কাশনের কাজ চলছে, তা পর্যাপ্ত নয়। ওই খনি থেকে জল বের করতে ১০০ হর্স পাওয়ারের পাম্পের প্রয়োজন। প্রথম থেকেই বলা হয়ে আসছে, “বেআইনিভাবে চলা এই খাদানটির ২৫০ ফুট নীচ থেকে জলে ভর্তি হয়ে গেছে। জলস্তর রয়েছে আরও প্রায় ৭০ মিটার।”