‘মোদী না থাকলে ভারত মুসলিম রাষ্ট্ৰে পরিণত হত’,মন্তব্য মেঘালয় হাইকোর্টের বিচারপতি এসআর সেন-এর

যে সময় নাগরিকত্ব সংশোধনি বিল-২০১৬ কে কেন্দ্ৰ করে অসম-সহ গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজনীতি তোলপার,থিক তখনই মেঘালয় হাইকোর্টের বিচারপতি এস আর সেনের একটি বিতর্কিত নির্দেশ ঘিরে গোটা দেশজুরে প্ৰতিক্ৰীয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। উল্লেখ্য,নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে মেঘালয় সরকার প্ৰস্তাব নেয়েছিল। যদিও এরপর ওই বিচারপতির এহেন একটি নির্দেশকে কেন্দ্ৰ করে সর্বোত্ৰয় চর্চা শুরু হয়েছে। এদিকে,স্বাধীনতার পরেই উচিত ছিল ভারতকে হিন্দু দেশ ঘোষণা করার,’ এমনই মন্তব্য করে মহাবিতর্ক তৈরি করলেন মেঘালয় হাইকোর্টের বিচারপতি এস আর সেন।
ধর্মনিরপেক্ষ দেশ ভারত। এখানে সব ধর্মের মানুষের বসবাস। ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখা প্রত্যেক ভারতীয়র কর্তব্য। কিন্তু একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তিনি। যুক্তি দিয়ে বিচারপতি বলেছেন, “পাকিস্তান নিজেদের মুসলিম দেশ ঘোষণা করেছে। তাই ভারতকেও হিন্দু দেশ ঘোষণা করা উচিত।”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গুণগানও করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, মোদী প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন বলেই ভারত এখনও ইসলামিক দেশে পরিণত হয়নি। নির্দেশনামায় তাঁর বক্তব্য, “ভারতকে আরও একটা মুসলিম দেশে পরিণত করা উচিত নয়। তা হলে সেটা হবে ডুমস ডে। আমি বিশ্বাস করি, শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে এই সরকারই এর গুরুত্ব বুঝতে পারবে।”
এর পাশাপাশি তাঁর পরামর্শ, ভারতে সব নাগরিকের জন্য একই আইন থাকা উচিত। কেউ দেশের আইন এবং সংবিধানের বিরোধিতা করলে তাঁকে দেশের নাগরিক মানা হবে না।তবে তাঁর বক্তব্য নিয়ে যাতে কোনও বিতর্ক না হয় সে জন্য নিজের অবস্থানও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিচারপতি সেন। তিনি বলেছেন, “যে সব মুসলিম ভাইবোন প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এ দেশে বসবাস করছেন এবং ভারতীয় আইন-কানুন মেনে চলেছেন, আমি তাঁদের বিরোধী নই। এখানে তাঁদের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে দেওয়া উচিত।”তবে ইতিমধ্যেই তাঁর এই নির্দেশ ঘিরে চরম বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধীরা।