
গুয়াহাটিঃ ন্যাশনাল পিপলস পার্টির(এনপিপি)সভাপতি তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্ৰী কনরাড কে সাংমা উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর মতে,এই অঞ্চলের মানুষ একজোট থাকলে তাঁরা নিজেদের ইস্যুগুলি নিয়ে কেন্দ্ৰের ওপর চাপ দিতে পারবেন। বুধবার দিশপুরের গণেশ উদ্যানে এক জনসমাবেশে ওই আহ্বান জানান কনরাড। এরআগে তিনি এখানে এনপিপি-র অসম শাখা গঠন করেন। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্ৰী আরও উল্লেখ করেন,‘ আমরা ন্যাশনাল পিপলস পার্টির অসম শাখা গঠন করেছি। আমার বাবা পিএ সাংমার স্বপ্ন ছিল এটা। অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে চার বছর আগে তিনি এই দল গথন করেছিলেন। উত্তর পূর্বাঞ্চলের পাঁচ রাজ্যে এনপিপি-র শাখা রয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্ৰী ছাড়াও মণিপুর ক্যাবিনেটের আরও তিনজন মন্ত্ৰী আমাদের দলেরই সদস্য। মেঘালয়ে এনপিপি নেতৃত্বাধীন এমডিএ সরকার বুধবার এক বছর পূর্ণ করলো’।
দিলীপ কুমার বরাকে এনপিপি-র অসম শাখার আহ্বায়ক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
দলের স্ট্ৰ্যাটিজি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কনরাড বলেন,‘উন্নয়নেই এনপিপি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের ২৫টি লোকসভা আসনে লড়ার পরিকল্পনা করছে এনপিপি। তবে নির্বাচন কমিটি এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে’।
পরে প্ৰচার মাধ্যমের এক প্ৰশ্নের জবাবে সাংমা বলেন,‘উন্নয়নের ক্ষেত্ৰে আমরা বর্তমানে এনডিএ-র সঙ্গে কাজ করছি। কিন্তু আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। উত্তর পূর্বের মানুষ বিরোধের মুখে পড়ুক এমন কোনও ইস্যু নিয়ে আমরা কখনোই আপস করবো না। আমরা যেকোনও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে প্ৰস্তুত। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(ক্যাব)সম্পর্কে সাংমা বলেন,বর্তমানে বিলটি যে কলেবরে রয়েছে তা মোটেই গ্ৰহণযোগ্য নয়। এই ইস্যুর ক্ষেত্ৰে গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চল একজোট হয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিল-বলেন তিনি। দিল্লির অবস্থানের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ উত্তর পূর্বাঞ্চল সংঘবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোয় কেন্দ্ৰ বিল নিয়ে তাদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হয়ে পড়ে। বিরোধ কিংবা বিতর্কের মুখে পড়তে হয় এমন সব অভিন্ন ইস্যুর ক্ষেত্ৰে উত্তরপুবের মানুষকে সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে-বলেন সাংমা।
এলওসিতে ভারতীয় বায়ু সেনার বিমান হানা সম্পর্কে প্ৰমাণ চাওয়া নিয়ে এক প্ৰশ্নের জবাবে প্ৰতিক্ৰিয়া ব্যক্ত করে সাংমা বলেন,‘আমরা দেশের সশস্ত্ৰ বাহিনীর সঙ্গে রয়েছি। বিমান হামলার প্ৰমাণ চাওয়া তাঁদের অবমাননারই নামান্তর’।
অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি প্ৰসঙ্গে সাংমা বলেন,‘এই অঞ্চলের মানুষের তা হতে দেওয়া উচিত। শুধু কেন্দ্ৰের ওপর নির্ভর করার পরিবর্তে তাদের নিজেদের পদক্ষেপ নেওয়া প্ৰয়োজন’।