ভারতের যে কোনো প্রান্তে যে কোনো কম্পিউটারের ওপরে নজরদারি চালাতে পারে দেশের কেন্দ্রের দশটি তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই ঘটনায় ফের সামনে চলে এসেছে ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের প্রশ্নটি।যে ১০টি তদন্তকারী সংস্থাকে এই নজরদারি চালানোর ক্ষমতা দেওয়া হল, তার মধ্যে আছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) এবং রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র), নারকোটিকস কন্ট্রোল বোর্ড, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস, ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স, সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই), ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ), দিল্লি কমিশনার অব পুলিশ এবং ডিরেক্টরেট অব সিগনাল ইন্টেলিজেন্স।
এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার আগে শুধুমাত্র মোবাইল কল বা ইমেল-এর ওপরেই নজরদারি চালানোর ক্ষমতা ছিল তদন্তকারী সংস্থাগুলির। কিন্তু এখন থেকে বিভিন্ন কম্পিউটারের তথ্য খতিয়ে দেখার ক্ষমতা পেল এই সব তদন্তকারী সংস্থা। যে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা এখন থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তাঁর বা তাদের কম্পিউটারের তথ্য দেখাতে বাধ্য।‘ভারতের সার্বভৌমত্ব, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা এবং বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত’, এমনই জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যদিও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পরে উদ্বিগ্ন অনেকেই। এর ফলে প্রত্যেক ভারতবাসীকেই অপরাধীর চোখে দেখা হবে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।