
অসম জুড়ে চারদিনের দুর্গোৎসব শেষ হলো শুক্ৰবার নিরঞ্জন পর্ব ও রাতে শান্তি জল ছিটিয়ে। পুজোর রেশ রয়ে গেল বিজয়ার শ্ৰদ্ধা,শুভেচ্ছা,ভালবাসা আর একাত্মতার আলিঙ্গনে। শুক্ৰবার সকাল থেকেই বাতাসে ছিল বিষাদের সুর। চিরাচরিত প্ৰথা মেনে মণ্ডপে মণ্ডপে দেখা গেল মা বরণে ব্যস্ত মহিলাদের। এয়ো স্ত্ৰীরা পরম্পরের মধ্যে সিঁদুর খেলায় বিভোর। এদিন বিকেলে বিভিন্ন মণ্ডপের প্ৰতিমা নিয়ে বের করা হয় মিছিল। মহানগরী গুয়াহাটির কাছোমারি,চুনশালি ও পাণ্ডু ঘাটে প্ৰতিমা নিরঞ্জন করা হয়। একইভাবে যোরহাটে ভোগদৈ নদীতে,ডিব্ৰুগড়ে ব্ৰহ্মপুত্ৰে,শিলচরে বরাকে নিরঞ্জন করা হয় প্ৰতিমা। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে শান্তিতেই সারা হয় নিরঞ্জন পর্ব। রাতে সম্পন্ন করা হয় রাবণ দহন। পুজোর কটা দিন আনন্দ সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছিলেন রাজ্যের জাতি,ধর্ম নির্বিশেষে সকাল স্তরের মানুষ। দশমীতে মায়ের বিদায় লগ্নে সবার মন ভারাক্ৰন্ত হলেও আনন্দের ফল্গুধারা চিরাচরিত প্ৰথায়ই প্ৰবহমান ছিল। সবাই অশ্ৰুশিক্ত নয়নে মাকে বিদায় জানান। আসছে বছর আবার হবে-এই চিরন্তন আশা বুকে নিয়ে।