গুয়াহাটিঃ অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বুধবার ২০১৯-২০ সালের রাজ্য বাজেট বিধানসভায় দাখিল করলেন। রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের এটা চতুর্থ বাজেট। ১,১৯৩ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্ৰী। ধুতি,পাঞ্জাবি পরে খাটি অসমিয়া বেশে এদিন বাজেট পেশ করেন মন্ত্ৰী শর্মা। তাঁর বাজেট বক্তৃতার মূল বিষয়গুলির প্ৰতি নিচে আলোকপাত করা হলো।
- ঘোষিত বাজেট অনু্যায়ী রাজ্যের চা বাগানগুলির প্ৰত্যেক ছাত্ৰ মাসিক ১০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবে।
- সব সম্প্ৰদায়ের বিবাহ যোগ্যা কন্যাকে এক তোলা সোনা দেওয়া হবে যে সমস্ত পরিবারের বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকারও কম।
- ৫৩ লক্ষ গৃহস্থের কল্যাণের লক্ষ্যে বর্তমানের হার প্ৰতি কেজি ৩ টাকা হারের বদলে ১ টাকায় কেজি দরে চাল জোগান ধরা হবে।
- ডিগ্ৰি পর্যায় অবধি(বিজ্ঞান,কলা,বাণিজ্য)এই তিনটি বিভাগে পাঠরত ছাত্ৰ ছাত্ৰীদের বিনামূল্যে পাঠ্য বই সরবরাহ করা হবে,যাদের অভিভাবকদের বার্ষিক আয় বছরে ২ লক্ষেরও কম।
- রাজ্যে ১০টি আইন মহাবিদ্যালয় স্থাপনের প্ৰস্তাব রাখা হয়েছে বাজেটে।
- উচ্চ শিক্ষার জন্য ২৫৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ ধার্য করা হয়েছে।
- কারিগরি শিক্ষা বরাদ্দ ধার্য হয়েছে ৪২০ কোটি টাকা।
- বিদ্যালয়ের আসবাব নির্মাণে প্ৰত্যেক বিদ্যালয়কে দেওয়া হবে ১ লক্ষ টাকা করে।
- বন বিভাগের জন্য বরাদ্দ ধার্য হয়েছে ৭৩৬ কোটি টাকা।
- আবগারি বিভাগের জন্য ৯০ কোটি টাকা এবং মৎস্য উৎপাদনের জন্য ঘরে ঘরে পুকুর,ঘরে ঘরে মৎস্য প্ৰকল্পের জন্য ৩০ কোটি টাকা ধার্য করা ছাড়াও মৎস্য বিভাগের জন্য ১১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্ৰস্তাব রাখা হয়েছে। ২০১৯-২০২০ সালে বাকসা,ওদালগুড়ি,চিরাঙে স্থাপন করা হবে ডিআইইটি মহাবিদ্যালয় এবং বিএড কলেজ।
- মাজুলি,বিশ্বনাথের সঙ্গে রাজ্যের বেশকটি জেলায় স্থাপন করা হবে ডিআইইটি মহাবিদ্যালয়। এরজন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্ৰস্তাব রাখা হয়েছে।
- প্ৰাথমিক শিক্ষা খাতে ৮৪৬ কোটি টাকা ধার্য করেছেন অর্থমন্ত্ৰী।
- আনন্দরাম বরুয়া পুরস্কারের জন্য বরাদ্দ ধার্য হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা।
- ১০০ শতাংশ উর্ত্তীর্ণ বিদ্যালয়গুলিকে এককালীন ১লক্ষ টাকা সাহা্য্য দেওয়ার প্ৰস্তাব রাখা হয়েছে বাজেটে। এরজন্য ধার্য হয়েছে ১০ কোটি টাকা।
- চলতি শিক্ষাবর্ষে ২লক্ষ ২০ হাজার ৫৫ জন ছাত্ৰীকে দেওয়া হবে সাইকেল।
- এএনএম কর্মীদের মাসে ৭৫০ টাকা গ্ৰামীণ ভাতা দেওয়া হবে।
- কৃষি বিভাগের জন্য বরাদ্দ ধার্য হয়েছে ২০২৩ কোটি টাকা।
- মুখ্যমন্ত্ৰীর সমগ্ৰ গ্ৰামীণ প্ৰকল্পের মাধ্যমে ২০০০ ট্যাক্টর বিতরণ করা হবে।
- বটদ্ৰবা থানকে ১৫৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
- রাজ্যের ৮ হাজার গ্ৰামপ্ৰধানকে দেওয়া হবে স্মার্টফোন।
- চরাইদেউ মইদামের জন্য ২৫কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেছেন শর্মা। চরাইদেউয়ে স্থাপন করা হবে চুকাফা ক্ষেত্ৰ। ৪২ জন স্বর্গদেউর স্মৃতিতে নির্মাণ করা হবে এই ক্ষেত্ৰ।
- মটক রাজা সর্বানন্দ সিংহর নামে হবে জাদুঘর।
- ধর্মজ্যোতি প্ৰকল্পের জন্য সাহা্য্যের পরিমাণ ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি।
- সচিবালয় চত্বরে নির্মাণ করা হবে চুকাফা,কুমার ভাস্কর বর্মন ও নরনারায়ণের প্ৰতিমূর্তি। শদিয়ায় হবে সাধিনী সমন্বয় ক্ষেত্ৰ। বিহপুরিয়ায় নির্মাণ করা হবে ডিমবর দেউরি সমন্বয় ক্ষত্ৰ। উত্তর গুয়াহাটিতে চিলারায় সাংস্কৃতিক কলাক্ষেত্ৰ নির্মাণের প্ৰস্তাব রাখা হয়েছে বাজেটে।
- থিয়েটারে ৫ বছর কাজ করা শিল্পীরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা। এরজন্য বরাদ্দ ধার্য হয়েছে ৫কোটি টাকা।
- গুয়াহাটি বাসীর প্ৰতি সম্পত্তি করে ছাড় ঘোষণা করে স্থাবর সম্পত্তির করদাতাদের এককালীন কর ছাড়ের প্ৰস্তাব রাখা হয়েছে।
- জনগোষ্ঠীয় ভাষার জন্য ভাষা গৌরব প্ৰকল্প।
- কোকরাঝাড়,ডিফু প্ৰশাসনকে ১০০ কোটি টাকা সাহায্য।
- তিনসুকিয়া,চরাইদেউ,ডিব্ৰুগড়ের বিকাশে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ধার্য।
- কর্মচারীদের জন্য ক্যাশলেস হেলথ ইনস্যুরেন্স প্ৰকল্প। এই প্ৰকল্প অনু্যায়ী নগদ অর্থ ছাড়াই কর্মচারীরা দেশের প্ৰথম সরির চিকিৎসালয়ে চিকিৎসার সুবিধা পাবেন।
- ছাত্ৰ ছাত্ৰীদের জন্য ফ্ৰি ইউনিফর্ম স্কিম নবম ও দশম শ্ৰেণি পর্যন্ত বৃদ্ধির প্ৰস্তাব রাখা হয়েছে।
- আর্থিক ক্ষেত্ৰে দুর্বল প্ৰত্যেক ছাত্ৰকে প্ৰতিমাসে ৭০০ টাকা ভরতুকি দেওয়া হবে দশ মাসের জন্য।
- ১৫,৭০০ ছাত্ৰের প্ৰত্যেকের লোন অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা জমা রাখা হবে।
- দিব্যাঙ্গদের মাসিক ১ হাজার টাকা সাহায্য দেওয়া হবে।
- ৪০ বছরের নিচের বিধবাদের তৎকালীনে সাহায্য হিসেবে ধার্য হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।
- বৃদ্ধকালীন পেনশন প্ৰতিমাসে ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫০ টাকা করার প্ৰস্তাব রাখা হয়েছে।
- যে সব নাগরিকরা ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ নিতে চান তাদের ২.৫ লক্ষ টাকা ভরতুকি দেওয়ার প্ৰস্তাব রাখা হয়েছে।
- ১০০০টি কাঠের সেতুকে আরসিসিতে রূপান্তরের প্ৰস্তাব রাখা হয়েছে বাজেটে।