নয়াদিল্লিঃ বিজেপি-র বিভিন্ন শরিক দল নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল ২০১৯-এর বিরোধিতা করা সত্ত্বেও রাষ্ট্ৰপতি রামনাথ কোবিন্দ বৃহস্পতিবার সংসদের যৌথ অধিবেশনে বিলের স্বপক্ষে কেন্দ্ৰীয় সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন। কোবিন্দ বলেন,যারা নির্যাতিত হয়ে ভারতে আশ্ৰয় নিতে বাধ্য হয়েছেন তাদের নাগরিকত্বের ক্ষেত্ৰে নাগরিকত্ব বিল সহায়তা করবে। বাজেট অধিবেশনের প্ৰাক্কালে বৃহস্পতিবার সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্ৰপতি বলেন,এই সব উদ্বাস্ত্তদের কোনওভাবে দোষারোপ করা যাবে না। কারণ তাঁরা পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। ‘যারা নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আশ্ৰয় নিতে বাধ্য হয়েছেন নাগরিকত্ব বিল তাদের নাগরিকত্ব অর্জনের পথে সাহায্য করবে। এই সব উদ্বাস্ত্ত মানুষদের দোষারোপ করা যাবে না। কারণ পরিস্থিতির শিকার হয়েই তারা ভারতে আশ্ৰয় নিয়েছেন’-বলেন কোবিন্দ। বিজেপির শরিক সহ গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চল নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা করছে। ওই বিলে বাংলাদেশ,পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অ-মুসলিমদের নাগরিকত্ব দিতে চাওয়া হচ্ছে।
এদিন কেন্দ্ৰীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্ৰকল্পের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্ৰপতি বলেন,সমাজের বুক থেকে অন্যায় আবিচার ও হতাশা দূর করার লক্ষ্যে এবং সামাজিক ন্যায় সুনিশ্চিত করার উদ্দেশ্য সামনে রেখেই কাজ করছে সরকার।
কোবিন্দ বলেন,২০১৬ সালে বিমুদ্ৰাকরণ ছিল মোদি সরকারের একটা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ পদক্ষেপ। কালো টাকার রমরমা এবং দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাগাম পরানোই বিমুদ্ৰাকরণ সরকারের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল। বলেন,বিমুদ্ৰাকরণ সমান্তরাল অর্থনীতির বিরুদ্ধে আক্ৰমণস্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং এরফলে বহু অগুণতি ক্যাশ সিস্টেমে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। যারা দেশকে ক্ৰমশ দুর্বল করছিল সেই শক্তিগুলির মূলোৎপাটন করেছে বিমুদ্ৰাকরণ-বলেন কোবিন্দ। কালো টাকার বিরুদ্ধে এই সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেছে। রাষ্ট্ৰপতি আরও বলেন,পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধীদের বিরুদ্ধে বেনামি ট্ৰ্যানজেকশন অ্যাক্ট ও প্ৰিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট ও অন্যান্য আইনের মাধ্যমে সরকার ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে সক্ষম হয়েছে।