সন্ত্ৰাসবাদ ও আবহাওয়া পরিবর্তনের সমস্যা আজকের দিনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জঃ মোদি

সিওলঃ প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসেই বিশ্ববিদ্যালয়ে মহাত্মা গান্ধীর একটি প্ৰতিমূর্তি উন্মোচন করেন। প্ৰতিমূর্তি উন্মোচনকালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়া প্ৰজাতন্ত্ৰের প্ৰেসিডেন্ট মুন জাই। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মোদি বলেন,মানবতার সামনে দেখা দেওয়া আজকের সবচেয়ে বড় দুটো চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সন্ত্ৰাসবাদ এবং আবহাওয়া পরিবর্তন। আর এই দুটো সমস্যার সমাধান সূত্ৰ আমরা গান্ধীজির জীবনদর্শন থেকে খুঁজে পেতে পারি।
‘সন্ত্ৰাসবাদ এবং আবহাওয়া পরিবর্তন এই দুটোই এখন মানুষের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যদি গান্ধীজির জীবন দর্শনের দিকে তাকাই তাহলে এই দুটো সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে পেতে পারি। গান্ধীজি হামেশাই বলতেন,মানুষের প্ৰয়োজন মেটাতে বৈচিত্ৰ্যময় প্ৰকৃতি সবকিছুই অকৃপণ হাতে উজাড় করে দিয়েছে। তবে লোভে আসক্ত হলে চলবে না’। দুদিনের দক্ষিণ কোরিয়া সফরকালে এক সমাবেশে কথাগুলি বলেন মোদি।
জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধির ঘটনায় উদ্বেগ প্ৰকাশ করে মোদি সন্ত্ৰাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সফল হতে গান্ধীজির ঐক্য,মানবিক মূল্যবোধ ও অহিংসার বাণী অনুসরণ করতে জনগণকে পরামর্শ দেন।
‘মহাত্মা গান্ধী জীবিত থাকাকালে আবহাওয়া পরিবর্তন ও পরিবেশ সংক্ৰান্ত বিষয়ে কোনও আলোচনার প্ৰয়োজন পড়েনি। কারণ,ওই সময়ে তিনি এমন একটা জীবন ধারা বেছে নিয়েছিলেন যাতে প্ৰকৃতির বুকে কোনও রকম বিরূপ প্ৰভাব না পড়ে। প্ৰকৃতি বাঁচিয়ে রাখার উপরই তিনি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ভবিষ্যৎ প্ৰজন্মের জন্য পৃথিবীকে সবুজ ও সুন্দরে ভরিয়ে তোলার পথই তিনি দেখিয়ে গেছেন-বলেন মোদি। তিনি আরও বলেন,‘বিংশ শতাব্দীতে গান্ধীজিই সম্ভবত মানুষের কাছে সেরা উপহার। ‘বিগত শতাব্দীতে তাঁর জীবন ও ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে তিনি দেখিয়ে গেছেন,ভবিষ্যতের দিনগুলিতে কী হতে পারে। তিনি প্ৰায়ই বলতেন আমার জীবনই এক বার্তা’-উল্লেখ করেন প্ৰধানমন্ত্ৰী। ‘এই মুহূর্তটির একটা বিশেষ তৎপর্য রয়েছে যেহেতু আমরা মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী পালন করছি এবং সারা বিশ্ব ভবিষ্যতে মানবতার স্বার্থে গান্ধীজির নীতি ও জীবনদর্শন থেকে পথ খুঁজে পেতে পারে’-বলেন মোদি।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্ৰপুঞ্জের প্ৰাক্তন সেক্ৰেটারি জেনারেল বান কি মুন বলেন,গান্ধীজির ১৫০তম জন্মবার্ষিকীতে উপস্থিত থাকতে পেরে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন। অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্ৰপতি মুন জাই এবং ফার্স্ট লেডি কিম জং সুকও উপস্থিত ছিলেন। সিওল শান্তি পুরস্কার গ্ৰহণ করতেই মোদি দুদিনের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া সফরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার ভারত-কোরিয়া বিজনেজ সিম্পসিয়ামেও ভাষণ দেন মোদি।