নয়াদিল্লিঃ শুধু লড়াই থেকে বিরত থাকাই শান্তির অর্থ নয়। সন্ত্ৰাসবাদ মোকাবিলা,আবহাওয়া পরিবর্তন,অর্থনৈতিক বিকাশ ও সামাজিক ন্যায় সুনিশ্চিত করতে সম্মিলিত বিশ্ব সহযোগিতার প্ৰয়োজন। ১১ নভেম্বর প্ৰথম বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির শতবর্ষ পূর্তির প্ৰাকলগ্নে রবিবার প্ৰধানমন্ত্ৰী তাঁর মাসিক রেডিও বার্তা অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এ এভাবেই বিশ্ববাসীর প্ৰতি ঐক্যের আহ্বান জানালেন।
মোদি বলেন,যুদ্ধের সঙ্গে ভারতের সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। তবে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,কারণ ভারতীয় সেনারা বীরদর্পে লড়াই করে আত্মবলিদান দিয়েছেন। প্ৰধানমন্ত্ৰী আরও বলেন,যুদ্ধের ধ্বংসলীলা কী ভয়ানক তা প্ৰথম বিশ্বযুদ্ধে সবাই দেখেছিল। ওই যুদ্ধে প্ৰায় এক কোটি সেনা এবং সম সংখ্যক সাধারণ মানুষ প্ৰাণ হারিয়েছিলেন। ওই লড়াইয়ে ভারতীয় সেনারাও বীরের মতো লড়াই করেছিল,বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছিল লড়াইয়ের ময়দানে তাঁরা কারোর চেয়েও কম যায় না। প্ৰথম বিশ্বযুদ্ধের ওই বিভীষিকা যে কী গোটা বিশ্ব তা অনুধাবন করেছিল এবং বুঝতে পেয়েছিল শান্তির গুরুত্ব। ‘গত একশো বছরে শান্তির ব্যাখ্যাও পাল্টে গেছে। আজ শান্তির অর্থ শুধু যুদ্ধ পরিহার নয়। তাই সন্ত্ৰাসবাদ,আবহাওয়া পরিবর্তন,অর্থনৈতিক বিকাশ ও সামাজিক ন্যায় প্ৰতিষ্ঠায় গোটা বিশ্বকে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে’। দরিদ্ৰতম মানুষের বিকাশই শান্তির প্ৰকৃত সূচক বলে মনে করেন মোদি।
আবহাওয়া পরিবর্তন সম্পর্কে প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,অতীতের গৌরবময় দিকগুলির প্ৰতিও ফিরে তাকাতে হবে। উপজাতি মানুষের জীবনধারাকেও বুঝতে হবে। কারণ প্ৰকৃতির সঙ্গে তাদের রয়েছে একটা নিবিড় সম্পর্ক। মোদি এদিন দেশের প্ৰথম স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী লৌহমানব সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের কথা স্মরণ করে বলেন,ভারতকে এক সুতোয় বাঁধতে তাঁর অসীম অবদান রয়েছে। আগামি ৩১ অক্টোবর তাঁর জন্ম বার্ষিকীতে এই মহান নেতাকে শ্ৰদ্ধা জানাবে গোটা দেশ।
এশিয়ান প্যারা গেমস ও সামার ইয়ুথ অলিম্পিকে ভারতীয় ক্ৰীড়াবিদদের পারফরম্যান্সের প্ৰশংসা করে প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন যে সব খোলা খুব একটা প্ৰচারের আলোয় আসে না সেগুলিতেও ভারতের খেলোয়াড়রা এখন যথেষ্ট ভাল ফল করছেন। উদাহরণস্বরূপ প্যারা অ্যাথলিট নারায়ণ ঠাকুরের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে।