সুপ্ৰীমকোৰ্ট মেঘালয়ের কয়লা উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি

সুপ্ৰীমকোৰ্ট মেঘালয়ের কয়লা উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি
Published on

মেঘালয়ে ভূগৰ্ভস্থ কয়লা উত্তোলন এবং পরিবহনের ওপর সুপ্ৰীমকোৰ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর আগেও ২০১৪ সাল থেকে ন্যাশনাল গ্ৰীণ ট্ৰাইব্যুনালও এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। কিন্তু ‘র‍্যাটহোল' বা ইদুঁরের খোঁড়া গৰ্ত্তের মতো ছোট ছোট গৰ্ত্ত করে বেআইনিভাবে কয়লা উত্তোলনের ঘটনা কমে নি। পূৰ্ব জয়ন্তীয়া পাহাড়ে বেআইনি র্যাটহোল খনিতে কয়লা উত্তোলন করতে গিয়ে ১৫ জন শ্ৰমিক প্ৰায় ১ মাস ধরে আবদ্ধ হয়ে পড়ে আছে।

এর আগে ২০১২ সালে এরকমই বেআইনি গৰ্ত্তে আবদ্ধ হয়ে কয়েক জন শ্ৰমিক মারা গিয়েছিল বলে মেঘালয়ের বিভিন্ন সূত্ৰ দাবি করেছে এবং সংবাদ পত্ৰেও তা প্ৰকাশ পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশী শ্ৰমিক বলে অভিযোগ করে তাদের ক্ষতিপূরণ এবং অন্যান্য কোনও সুবিধয় দেওয়া হয় নি বলে অভিযোগ। মেঘালয়ের বিশিষ্ট সমাজসেবী এ্যগেনেস খারসিং (Agnes Kharshing) কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা জন্য দুবৃৰ্ত্তদের হাতে আক্ৰান্ত হয়েছিলেন।

তিনি ‘এন. ই. নিউজ লাইভ’-এর বিশিষ্ট সাংবাদিক ওয়াসবির হোসেনকে এক সাক্ষাৎকার দিয়ে অভিযোগ করেছেন, ‘এই কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতা, কয়লা মাফিয়া এবং সরকারের একাংশও জড়িত।' তিনি অভিযোগ করেন, কয়লা উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা সত্বেও কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয় নি। প্ৰতি ট্ৰাকে ৯ মেট্ৰিকটনের জায়গায় ৩০ মেট্ৰিকটন পৰ্যন্ত দেখানো হয়। মেঘালয়ের বিশিষ্ট সাংবাদিক পাট্ৰিকা মুখিম সুপ্ৰীমকোৰ্টের নিৰ্দেশকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, র্যাটহোল খনি থেকে বেআইনিভাবে কয়লা উত্তোলনের ফলে কৃষি জমি বিনষ্ট হচ্ছে, নদীর জল বিষাক্ত হচ্ছে।

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com