সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারত বিরোধী মন্তব্য পোস্ট করে পুলিশের জালে ১৫

গুয়াহাটিঃ জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সাম্প্ৰতিক মারণ হামলার পর থেকে ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী ও পাকিস্তানের পক্ষে মন্তব্য পোস্ট করে দেশে পরিবেশ বিষিয়ে তোলার চেষ্টা চলছিল। পুলিশ এই ঘটনায় রাজ্যে এপর্যন্ত ১৫ জনকে গ্ৰেপ্তার করেছে। ধৃতদের মধ্যে কিশোরও রয়েছে। উল্লেখ্য,পুলওয়ামার অবন্তিপুরায় আত্মঘাতী জঙ্গির বোমা বিস্ফোরণে সিআরপিএফ-এর ৪২ জন জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। শুক্ৰবার সন্ধ্যায় দিশপুরে জনতা ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বরিষ্ঠ ক্যাবিনেট মন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন,দেশদ্ৰোহিতা,দাঙ্গা বাধাতে উস্কানি দেওয়ার অভিপ্ৰায়ে এবং ধর্মের নামে বিভিন্ন শ্ৰেণির মানুষের মধ্যে শত্ৰুতা সৃষ্টি ও জাতীয় সংহতি বিনষ্ট করার চেষ্টা সহ ভারতীয় দণ্ডবিধি আইনের বিধি ব্যবস্থায় এদের গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে। শর্মা বলেন,পুলিশ গুয়াহাটি আইকন কমার্স কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপিকা পাপড়ি ব্যানার্জি সহ ১৯ জনকে শনাক্ৰ করেছে ফেসবুক,টুইটার এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারত বিরোধী মন্তব্য পোস্ট করার অভিযোগে। পুলিশ এই ঘটনায় ১৩টি জেলায় এপর্যন্ত ১৬টি মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং ১৫ জনকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে।
যাদের গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে তারা হলো দরং জেলার হাফিজুর রহমান(১৯)আহিজুদ্দিন(৩৫),তিনসুকিয়া জেলার মহম্মদ খাইরুল আলম লস্কর(১৯),মহম্মদ সাইকুল আলম লস্কর(১৮)এবং মহম্মদ রিয়াজুল লস্কর(২৮)। গোয়ালপাড়ার শাহনুর ইসলাম,চিরাঙের আনোয়ার হুসেন,শোণিতপুরের প্ৰিন্স আজমল হুসেন(১৭),বঙাইগাওয়ের রাহুল হুসেন ও জিন্টু খান,লখিমপুরের রাহুল তাঁতি(২৩)এবং মানসু আলি(২৯),মরিগাঁওয়ের উজ্জ্বল নাথ এবং ওমর ফারুক আবদুল্লা এবং কামরূপ গ্ৰামীণ জেলার মহম্মদ দিলওয়ার হুসেন। পুলিশ ভুয়া ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা নির্দিষ্ট কিছু ভারত-বিরোধী প্ৰচারের বিষয়টি তদন্ত করছে।
শর্মার মতে ধর্মীয় ও সাম্প্ৰদায়িক সুড়সুড়ি দিয়ে যে সব ন্যস্ত স্বার্থান্বেষীরা রাজ্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে তাদের সঙ্গে ধৃত ব্যক্তিদের যোগাযোগ থাকার কথা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তিনি বলেন,তবে রাজ্য পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ার প্ৰতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে। কেউ ভারত বিরোধী এবং পাকিস্তানের সমর্থনে মন্তব্য পোস্ট করলে তাদের রেয়াত করা হবে না-সাফ জানিয়ে দেন শর্মা।