স্কুল শিক্ষকদের জন্য সার্ভিস রুল রূপায়ণের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের

গুয়াহাটিঃ শিক্ষক-ছাত্ৰের প্ৰতিকূল আনুপাতিক হার নিয়ে সৃষ্টি হওয়া বিশৃঙ্খলা রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্ৰে দীর্ঘদিনের একটা ইস্যু। তবে এই সমস্যার সমাধান শীঘ্ৰই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার স্কুল শিক্ষকদের জন্য সার্ভিস রুল রূপায়ণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের প্ৰতিমন্ত্ৰী পল্লব লোচন দাস বুধবার বিধানসভায় জানান যে তাঁর বিভাগ এধরনের সার্ভিস রুলের প্ৰথম খসড়া বর্তমানে তৈরি করছে এবং আশা করা হচ্ছে ওই খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য খুব শিগগিরই মন্ত্ৰিসভায় পেশ করা যাবে। দাস বলেন,একবার সার্ভিস রুল কার্যকর হলে সরকার কোন স্কুলে ছাত্ৰ সংখ্যার বিপরীতে কত জন শিক্ষকের প্ৰয়োজন সে ব্যাপারে একটা যুক্তিপূর্ণ ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজ শুরু করতে পারবে।
অসমের বিভিন্ন স্কুলে বাড়তি শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও ২৪.৯৭ শতাংশ নিম্ন প্ৰাথমিক বিদ্যালয় এবং ২২.৭৩ শতাংশ উচ্চ প্ৰাথমিক বিদ্যালয় একটা প্ৰতিকূল ছাত্ৰ-শিক্ষক অনুপাতে চলছে। শিক্ষার অধিকার(আরটিই)আইন অনু্যায়ী নিম্ন প্ৰাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্ৰ-শিক্ষক অনুপাত ১:৩০ এবং উচ্চ প্ৰাথমিক বিদ্যালয়ে ১:৩৫ হওয়া উচিত। ছাত্ৰ-শিক্ষকের অনুপাত যুক্তিপূর্ণ রাখাটা শিক্ষা বিভাগের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষক-ছাত্ৰের অনুপাত যুক্তিপূর্ণ রাখতে যখনই আমরা কোনও শিক্ষককে অন্য স্কুলে বদলি করছি তখনই ওই সমস্ত শিক্ষকরা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বদলি রোখার জন্য। কিছু শিক্ষক আবার বদলি রুখতে রাজনৈতিক প্ৰভাব খাটাচ্ছেন। এ হেন পরিস্থিতিতে শিক্ষা বিভাগ রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়ে,শিক্ষকদের জন্য সার্ভিস রুলের ব্যবস্থা না থাকায়। দাস বলেন,সার্ভিস রুল হলে পুরো বিষয়টি যুক্তিসিদ্ধ করে তোলা সম্ভব হবে। শিক্ষার মান উন্নত করার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতেও সার্ভিস রুলের প্ৰয়োজন রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।