১২ হাজার স্থানীয় ব্যক্তিকে জমির পাট্টা দিচ্ছে রাজ্য সরকার

গুয়াহাটিঃ কেন্দ্ৰীয় সরকার নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল ২০১৬ পাস করার তৎপরতা চালানোয় স্থানীয় অসমিয়া মানুষের অস্তিত্ব যখন চরম হুমকির মুখে সেই একই সময়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন অসম সরকার রাজ্যে ভূনিহীন প্ৰায় ১২ হাজার স্থানীয় মানুষকে জমির পাট্টা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্ৰথম পর্যায়ে রাজ্যের ২৩টি জেলার স্থানীয় ভূমিহীন মানুষ জমির পাট্টা পাবেন। সরকার ইতিমধ্যেই সুবিধা প্ৰাপকদের একটি তালিকা প্ৰস্তুত করেছে। মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল আগামি রবিবার শোণিতপুর জেলার ভূমিহীন স্থানীয় লোকেদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জমির পাট্টা বিতরণ করবেন।
যে সব স্থানীয় মানুষ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একই জমিতে বসবাস করার পরও জমির পাট্টা পাননি তাদের রবিবার থেকে শুরু হতে চলা প্ৰথম দফায়ই জমির পাট্টা দেওয়া হবে। ভূমিহীন অন্যান্য স্থানীয় লোকেরাও পরবর্তী পর্যায়ে জমির পাট্টা পাবেন। স্থানীয় মানুষের জমির সুরক্ষা সংক্ৰান্ত কমিটির একটি প্ৰধান সুপারিশের ভিত্তিতেই সোনোয়াল সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১৬ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরপরই এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্ৰাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনের হরিশঙ্কর ব্ৰহ্ম।
রাজ্যে সরকারি জমিতে বসবাসকারী স্থানীয় লোকেরা যাতে সরকারি প্ৰকল্প থেকে উপকৃত এবং ঋণের আবেদন করতে পারেন তার জন্য ব্ৰহ্মই তাঁদের জমির পাট্টা দেওয়ার জন্য জোরদার সুপারিশ করেছিলেন। কমিটি আরও সুপারিশ করেছে,যারা নদী ভাঙনে নিজেদের জমি হারিয়েছেন তাদের সিলিং উদ্বৃত্ত জমি দেওয়া উচিত। রাজ্যে ১৯৬৪ সালের পর থেকে জমি জরিপের কোনও ব্যবস্থা না হওয়ায় উদ্বেগ প্ৰকাশ করেছে কমিটি। কারণ জমি জরিপ না হলে রাজ্যের জমির ধাঁচ ও দখলদারদের অধীনে কী পরিমাণ জমি রয়েছে তার প্ৰকৃত চিত্ৰ পাওয়ার ক্ষেত্ৰে সমস্যার সৃষ্টি হবে। তাই জরিপ প্ৰক্ৰিয়া দ্ৰুত শুরু করতে সরকারকে সুপারিশ করেছে কমিটি।