২০০৮-এর ধারা বিস্ফোরণ কাণ্ডে রঞ্জন সহ দশজনকে যাবজ্জীবনের রায় কোর্টের

গুয়াহাটিঃ কেন্দ্ৰীয় তদন্ত ব্যুরোর(সিবিআই)বিশেষ আদালত ২০০৮ সালে রাজ্যে ধারা বোমা বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্তদের বিরুদ্ধে আজ সাজা ঘোষণা করলো। কোর্ট বিস্ফোরণ মামলার মূল মাথা দোষী সাব্যস্ত ন্যাশনাল ডেমোক্ৰ্যাটিক ফ্ৰন্ট অফ বোড়োল্যান্ড এনডিএফবি(আর)প্ৰধান রঞ্জন দৈমারি সহ দশ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে। কোর্ট বিস্ফোরণ কাণ্ডে দৈমারি ও অন্যান্য নয়জন দোষীর বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় শোনাল আজ।
বিশেষ আদালত অন্যান্য ৩ জনের বিরুদ্ধে ১০ বছরের জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা চাপিয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত নীলিম দৈমারির ২০০ টাকা জরিমানা করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আদালত এই মামলায় মৃদুল গয়ারিকে নির্দোষ ঘোষণা করেছে। যে তিনজনের বিরুদ্ধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা চাপানো হয়েছে তারা হলো প্ৰভাত বোড়ো,জয়ন্তী বসুমতারি ও মথুরা ব্ৰহ্ম। জরিমানার টাকা দেওয়ার পর এদের মুক্তি দেওয়া হবে। কারণ এরা বিচারাধীন অবস্থায় কারাবাসের মেয়াদ পূর্ণ করেছে। ধারা বিস্ফোরণে দোষী সাব্যস্ত যে দশজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা হলো এনডিএফবি(আর)প্ৰধান রঞ্জন দৈমারি,জর্জ বোড়ো,অজয় বসুমতারি,রাহুল ব্ৰহ্ম,রাজেন গয়ারি,আনচাই বোড়ো,লক্ৰা বসুমতারি,ইন্দ্ৰ ব্ৰহ্ম,বৈশাগি বসুমতারি ও রাজু সরকার।
২০০৮ সালের ৩০ অক্টোবর অসমের বিভিন্ন স্থানে প্ৰায় একই সময়ে এই ধারা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। গুয়াহাটির গণেশগুড়ি উড়াল সেতুর নিচে,পানবাজার,সিজেএম কোর্ট চত্বর সহ বরপেটা,কোকরাঝাড় ও বঙাইগাঁওয়ে এই ধারা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল প্ৰায় একইসঙ্গে। উপর্যুপরি এই বিস্ফোরণ কাণ্ডে ৮৮জন প্ৰাণ হারিয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ৫৪০ জন। আহতদের মধ্যে অনেকেই সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যান। ভুক্তভোগী ও প্ৰত্যক্ষদর্শী এবং আহতরা আজও সেই অভিশপ্ত দিনটি বিভীষিকা মন থেকে মুছে ফেলতে পারেননি। আজও অনেকেই সেই দিনটির কথা ভেবে শিউরে ওঠেন।
বিশেষ আদালত গত সোমবার ধারা বিস্ফোরণ মামলায় রায়ে ১৪ জনকে দোষী ঘোষণা করেছিল। দৈমারি ছাড়াও জর্জ বড়ো অজয় বসুমতারি,খর্গেশ্বর বসুমতারি,রাজেন্দ্ৰ গয়ারি ও আনচাই বোড়োর বিরুদ্ধে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও চাপিয়েছে কোর্ট।
সিবিআই-র বিশেষ বিচারপতি অপরেশ চক্ৰবর্তী আজ নিশ্ছিদ্ৰ নিরাপত্তার মধ্যে বিস্ফোরণ মামলায় দোষীদের বিরুদ্ধে এই সাজা শোনানা।
নীলিম দৈমারি ও মৃদুল গয়ারির বিরুদ্ধে ২০০ টাকা জরিমানা করে তাদের ইতিমধ্যেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে তারা ইতিমধ্যেই কারাগারের মেয়াদ পূর্ণ করায়।