
গত রবিবার ডিএমকে-র সদর দফতরে দলের প্রয়াত প্রধান করুণানিধির আট ফুট উঁচু মূর্তির আবরণ উন্মোচন অনুষ্ঠানেই ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নাম ঘোষণা্ করেন। যা নিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই শুরু হয় দেশজোড়া তোলপাড়। সম্ভাব্য জোটের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা না করেই এ ধরনের ঘোষণা নিয়ে শুরু হয় তীব্র চাপান-উতোর। তবে সোমবার মধ্যপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী তথা ৯ বারের কংগ্রেস সাংসদ কমল নাথ বলেন, এ বিষয়ে এখনই এতটা তাড়াহুড়ো করার কিছু নেই।
চেন্নাইয়ের ‘আন্না আরিভালায়াম’-এ ডিএমকে-র সদর দফতরে স্ট্যালিন বলেছিলেন, “দিল্লিতে নয়া প্রধানমন্ত্রী আনার আর্জি জানাচ্ছি। এবং এ জন্য তামিলনাড়ুর সমর্থন রাহুল গান্ধীর দিকেই। ফ্যাসিস্ট মোদী সরকারকে হারানোর পূর্ণ যোগ্যতা ওঁরই রয়েছে”। কিন্তু কমল নাথ সংবাদ মাধ্যমের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন,” আমি নিশ্চিত নই যে এটা নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।…রাহুল গান্ধী কখনোই প্রধানমন্ত্রীপদের জন্য জোরাজুরি করেননি। কোনো রকমের শর্ত ছাড়াই জোটের অন্যান্য সঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা করেই এটা স্থির হবে”।একই সঙ্গে তিনি অন্যান্য বিরোধী দলগুলির মতোই জানান, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে আলোচনা ভোটের পরে হবে। তা ছাড়া ভোটের আগেও অনেকটা সময় রয়েছে। ফলে আলোচনার মাধ্যমেই এটা নির্দিষ্ট হবে। কোনো এক জনের সিদ্ধান্ত মোটেই কার্যকরী হবে না।