Begin typing your search above and press return to search.

৩১ জুলাই-এর মধ্যে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্ৰকাশের নির্দেশ সুপ্ৰিমকোর্টের

৩১ জুলাই-এর মধ্যে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্ৰকাশের নির্দেশ সুপ্ৰিমকোর্টের

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  25 Jan 2019 12:46 PM GMT

নয়াদিল্লি/গুয়াহাটিঃ জাতীয় নাগরিক পঞ্জির(এনআরসি)চূড়ান্ত তালিকা আগামি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্ৰকাশ করতেই হবে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত বৃহস্পতিবার এনআরসি-র রাজ্য সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলাকে এই নির্দেশ দিয়েছে। কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে চূড়ান্ত এনআরসি প্ৰকাশের দিন কোনও পরিস্থিতিতেই ৩১ জুলাই থেকে পিছনো যাবে না। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্ৰতি নজর রেখে সমন্বয়ক হাজেলা এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্ৰকাশের জন্য সময়সীমা দুমাস পিছিয়ে আগামি সেপ্টেম্বরের শেষাশেষি ধার্য করার জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। বাড়তি সময় চাওয়ার পিছনে হাজেলা যুক্তি দেখিয়েছিলেন লোকসভা ভোটের জন্য সরকারি আধিকারিক ও কর্মীরা ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। তাই এনআরসি-র কাজ সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্ৰে বাধার সৃষ্টি হতে পারে। হাজেলার ওই প্ৰতিবেদনের ভিত্তিতে মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি রহিন্টন ফলি নরিম্যানকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বিষয়টির শুনানি গ্ৰহণ করে ওই নির্দেশ দেয়। হাজেলার আবেদন খারিজ করে দিয়ে শীর্ষ আদালত এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্ৰকাশের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।

শীর্ষ আদালত বলেছে,লোকসভা ভোটের মতোই গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক পঞ্জি নবায়নের কাজ। তাই নির্বাচনী কাজের সঙ্গে এনআরসি নবায়নের কাজ সমান্তরালভাবে চালিয়ে যেতে হবে। বেঞ্চ রাজ্যের মুখ্যসচিব,সমন্বয়ক হাজেলা এবং নির্বাচন কমিশনের সচিবকে আগামি সাত দিনের মধ্যে বৈঠকে মিলিত হয়ে এই দুটো গুরুত্বপূর্ণ কাজ একইসঙ্গে কিভাবে চালিয়ে যাওয়া যায় তার পন্থা পদ্ধতি ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছে। ‘এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্ৰস্তুতি ও নির্বাচনী কামকাজ একইসঙ্গে চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্ৰে সম গুরুত্ব দিতে হবে যাতে একটির জন্য অন্যটির কাজ বিঘ্নিত না হয়’-বলেছে শীর্ষ আদালত। বেঞ্চ আরও বলেছে এনআরসি-র কাজে বর্তমানে কী পরিমাণ কর্মী নি্যুক্ত রয়েছেন এবং কাজ চালিয়ে যেতে আরও কর্মীর প্ৰয়োজন কিনা এবং সেই সঙ্গে নির্বাচনী কাজে এধরনের কতজন কর্মী ও কার কী ভূমিকা হবে তা ঠিক করতে হবে মুখ্যসচিব,হাজেলা ও নির্বাচন কমিশনের সচিবকে। এব্যাপারে বেঞ্চ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে ইসি,অসমের মুখ্যসচিব এবং এনআরসির রাজ্য সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলার মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত করে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। এই রিপোর্ট নিয়ে পরবর্তী শুনানি গ্ৰহণ করা হবে আগামি ৫ ফেব্ৰুয়ারি।

অন্যদিকে,সুপ্ৰিমকোর্টে পেশ করা হাজেলার এক প্ৰতিবেদন অনু্যায়ী এনআরসি খসড়া থেকে বাদ পড়া ৪০ লক্ষ লোকের মধ্যে ৩৬.২ লক্ষ লোক নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ফের আবেদন করেছেন। একইভাবে দাবি ও ওজর আপত্তি জানানোর ক্ষেত্ৰে শীর্ষ আদালতের বেঁধে দেওয়া চূড়ান্ত সময়সীমা ২০১৮-র ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আপত্তি জানানো আবেদনকারীর সংখ্যা হলো প্ৰায় দু’লক্ষ। তিনি বলেন,দাবি ও ওজর আপত্তি পরীক্ষার কাজ শুরু হচ্ছে ১৫ ফেব্ৰুয়ারি থেকে। পুনরাবেদনকারীদের সাক্ষ্য গ্ৰহণ করতে ১৫ দিন আগে নোটিশ জারি করে তলব করা হবে বলে হাজেলা আদালতকে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য,২০১৮-র ৩০ জুলাই এনআরসি-র পূর্ণাঙ্গ খসড়া প্ৰকাশিত হয়েছিল। ওই খসড়ায় ৩.২৯ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে ২.৮৯ কোটির নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। বাদ পড়েছিল ৪০,০৭,৭০৭ লক্ষ লোকের নাম। এরমধ্যে ৩৭,৫৯,৬৩০ জনের নাম খারিজ করে দেওয়া হয়েছে এবং বাকি ২,৪৮,০৯৯টি নাম বিবেচনাধীন রয়েছে।

সুপ্ৰিমকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে আসুর মুখ্য উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেন,চূড়ান্ত এনআরসি বাংলাদেশি মুক্ত হতেই হবে। অসমের জটিল বিদেশি সমস্যার সমাধানে এনআরসি হচ্ছে সুবর্ণ সু্যোগ। ৭১ সালের ২৪ মার্চ মধ্যরাতের পর অসমে আসা বাংলাদেশিদের শনাক্ত করে বহিষ্কারের ক্ষেত্ৰে এনআরসি হবে যথার্থ দস্তাবেজ।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম