গুয়াহাটিঃ সেন্ট্ৰাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন(সিবিএসই)প্ৰায় বছর খানেক আগে তাদের সব শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠানকে স্কুল চত্বরে প্লাস্টিক সামগ্ৰী সম্পূর্ণ পরিহার করার নির্দেশ জারি করেছিল। কিন্তু অসমে সিবিএসই-র স্বীকৃত একটিও স্কুল-আজ অবধি ওই নির্দেশিকা পুরোপুরি পালন করেনি।
গুয়াহাটির কয়েকটি প্ৰথম সারির স্কুল তাদের প্ৰতিষ্ঠান চত্বরে প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধ করলেও প্লাস্টিকের জলের বোতল এবং লাঞ্চ বক্স ব্যবহারের চল এখনও রয়েছে। কিছু স্কুল সফট ড্ৰিঙ্কের বোতল পুনর্ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল যদিও তারা এখনও ছাত্ৰদের ফুট-গ্ৰেড প্লাস্টিকের তৈরি ওই সব জলের বোতল ব্যবহার করতে দিচ্ছে। প্লাস্টিকের তৈরি বোতল,রেপার্স,প্যাকেজিং,ব্যাগস,কাপস,প্লেটস এবং পলিথিনের সামগ্ৰী ব্যবহার নিষিদ্ধ করে বিকল্প হিসেবে বায়ো ডিগ্ৰেডেবল সামগ্ৰী ছাত্ৰদের ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল নির্দেশিকায়। প্লাস্টিক সামগ্ৰী ব্যবহারে কি ক্ষতি হতে পারে সে ব্যাপারে ছাত্ৰদের সচেতন করতে ২০১৮ সালে সিবিএসই তাদের স্বীকৃতি স্কুলগুলির উদ্দেশে ওই সার্কুলারটি জারি করেছিল। পরিবেশ প্ৰকৃতি রক্ষায় ছাত্ৰ সমাজকে সচেতন করা ওই নির্দেশিকার উদ্দেশ্য ছিল। স্কুল প্ৰাঙ্গণ প্লাস্টিক মুক্ত করে একটা স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে তোলার কথাও বলা হয়েছিল নির্দেশিকায়। কিন্তু অধিকাংশ স্কুল প্লাস্টিক সমগ্ৰীর ওই কু প্ৰভাব থেকে আজও মুক্ত হতে পারেনি।
অধিকাংশ স্কুল ছাত্ৰদের বলেছে,তারা যেন খুব কম সংখ্যায় প্লাস্টিক সামগ্ৰী ব্যবহার করে। শহরের সিবিএসই কার্যালয়ের একটি সূত্ৰে একথা জানিয়েছে। বেশিরভাগ স্কুল বলেছে,সার্কুলারটি নিঃসন্দেহে যথেষ্ট ভাল কিন্তু তা বাস্তবে রূপায়ণ করা কঠিন। প্লাস্টিক বর্জন নিয়ে সমাজের বুকে সার্বিক সচেতনতা বোধ গড়ে না উঠলে এই ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। সিবিএসই স্কুলের একজন শিক্ষক একথা বলেন। তাই এরাজ্যে পরিবেশ বান্ধব স্কুল গড়ে তোলা এখন স্বপ্নই থেকে গেছে।