১১বছরেই স্কুলের প্ৰিন্সিপাল একটি খুদে

১১বছরেই স্কুলের প্ৰিন্সিপাল একটি খুদে

সন্তানরা বড় হোক,নাম,যশ কামাক,অনেক উন্নতি করুক-এমন স্বপ্ন কোন অভিভাবকের নেই। প্ৰত্যেক অভিভাবকই চান সন্তানের সাফল্য। কিন্তু আজ আমরা যে শিশুটির কথা বলবো তার বয়েস মাত্ৰ ১১ বছর। নাম খুশি। এই বয়সেই একটা স্কুলের প্ৰিন্সিপাল হয়ে অভিভাবকের মুখ উজ্জ্বল করেছে সে। ১১ বছরের খুশি চতুর্থ শ্ৰেণিতে পড়াশোনা করছে। নিজেরই স্কুলের প্ৰিন্সিপাল হতে পেরে আনন্দে আটখানা সে। খুদে মেয়েটির উচ্চতা মাত্ৰ তিনফুট,কিন্তু তার অভিপ্ৰায় ও আস্থা এর অনেক গুণ বেশি।

১১ বছরের চতুর্থ শ্ৰেণির এই খুদেটি কি করে নিজেরই স্কুলে প্ৰিন্সিপালের মতো সম্মানিত একটা পদ পেল তা ভেবে অনেকেই হয়তো আঁতকে উঠবেন। আর এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। এই গোপন রহস্য জানতে যেতে হয় ফিরোজপুরের গার্লস সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে। এই স্কুলেরই ছাত্ৰী খুশি। পুরো ঘটনাটি আবর্তিত হয়েছে এই স্কুলকে কেন্দ্ৰ করে। সম্প্ৰতি এই স্কুলে স্মার্ট ক্লাসরুম এবং ল্যাবরেটরি নির্মাণ করা হয়েছে।

ফিরোজপুরের বিধায়ক পরমিন্দার সিং পিঙ্কি সম্প্ৰতি স্মার্ট ক্লাশরুম ও ল্যাব উদ্বোধন করতে স্কুলে এসেছিলেন। ওই সময়ে খুশির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। কথায় কথায় বিধায়ক খুশিকে প্ৰশ্ন করেন বড় হয়ে সে কী হতে চায়। খুশির চটজলদি জবাব,সে স্কুলের প্ৰিন্সিপাল হতে ইচ্ছুক। এরপর বিধায়ক জানতে পারেন খুশির বাবা নেই। খুবই গরিব পরিবার থেকে এসেছে সে। এহেন পরিস্থিতিতে বিধায়ক একটা সুন্দর পদক্ষেপ নিয়ে বসেন খুশির স্বপ্ন সাকার করতে। একমাত্ৰ এলাকার বিধায়কের জন্য খুশির স্বপ্ন এদিন সার্থক হলো। এমএলএ একদিনের জন্য খুশিকে ওই স্কুলের প্ৰিন্সিপাল বানিয়ে দিলেন। খুদে মেয়েটি এমনিতেও পড়াশোনায় বেশ ভালো। এমএলএ-এর ভাবনা ছিল খুশিকে যদি একদিনের জন্য প্ৰিন্সিপালের আসনে বসানো যায় তাহলে সে তার স্বপ্ন পূরণে উৎসাহিত বোধ করবে। খুশিকে একদিনের জন্য ওই পদ দিয়ে অধ্যক্ষ বাড়িতে চলে যান। এরপরই খুশিকে প্ৰিন্সিপালের কক্ষে নিয়ে গিয়ে প্ৰিন্সিপালের আসনে বসিয়ে দেওয়া হয়। কাঙ্খিত পদ পেয়ে খুশি দিনভর স্কুলের এদিক ওদিক চষে বেড়ায়। স্কুলে জল সংরক্ষণের যে ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হয়েছে সেটিও খতিয়ে দেখে খুশি। স্কুলের আরও সিস্টেম এবং মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য থাকা ঘরটির ওপর ছাদের ব্যবস্থা করার সদিচ্ছা প্ৰকাশ করে সে। এমএলএ কথা দেন খুশির এই ইচ্ছা তিনি অবশ্যই পূরণ করবেন।

এদিকে খুশির মা রোশি বালাও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন,এটা একটা প্ৰশংসনীয় পদক্ষেপ। এটা তাঁর মেয়ের আস্থা অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে। প্ৰিন্সিপাল হওয়ার স্বপ্ন সাকারে সাহায্য করবে। এমএলএ এদিন খুশির নামে ৫১ হাজার টাকার একটা ফিক্সড ডিপোজিট(এফডি)করিয়ে দিয়ে যান,যা আগামিতে খুশি প্ৰয়োজনে কাজে লাগাতে পারবে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Road Accident in Orang, One killed

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com